বাংলাদেশের জন্য দারুণ এক সুখবর। প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে আম্পায়ারদের এলিট প্যানেলে জায়গা করে নিয়েছেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তা নিশ্চিত করেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। আইসিসির আন্তর্জাতিক আম্পায়ার প্যানেল থেকে সৈকতকে এলিট প্যানেলে উন্নীত করার সিদ্ধান্তটি ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির বার্ষিক রিভিউ ও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নেয়া হয়েছে।
নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্যানেলে ছিলেন আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার ওয়াসিম খান, সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মঞ্জরেকার, অবসরে যাওয়া নিউজিল্যান্ডের আম্পায়ার টনি হিল ও কার্যনির্বাহী বিশেষজ্ঞ পরামর্শক মাইক রাইলি।
এর আগে গত বছর ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশী আম্পায়ার হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন সৈকত। যেখানে তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণে দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছিলেন। এরপর তিনি নিরপেক্ষ একটি সিরিজেও প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেছেন। গত জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে দায়িত্ব পালন করেন আম্পায়ার সৈকত।
বাংলাদেশি আম্পায়ারিং ইতিহাসে একাধিক কীর্তি গড়া সৈকত এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পুরুষদের ক্রিকেটে ১০টি টেস্ট ম্যাচ, ৬৩ ওয়ানডে এবং ৪৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আম্পায়ারিং করার অভিজ্ঞতা আছে সৈকতের। অন্যদিকে মেয়েদের ক্রিকেটে ১৩ ওয়ানডে ম্যাচ এবং ২৮ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন সৈকত। এ ছাড়া পুরুষদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে ১০০টি ম্যাচ পরিচালনা করারও কীর্তি আছে তার।
আইসিসি এলিট প্যানেল আম্পায়ার: কুমার ধর্মসেনা (শ্রীলঙ্কা), ক্রিস্টোফার গ্যাফফানি (নিউজিল্যান্ড), মাইকেল গফ (ইংল্যান্ড), অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক (দক্ষিণ আফ্রিকা), রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ (ইংল্যান্ড), রিচার্ড কেটেলবরো (ইংল্যান্ড), নীতিন মেনন (ভারত), এহসান রাজা (পাকিস্তান), পল রাইফেল (অস্ট্রেলিয়া), শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত (বাংলাদেশ), রড টাকার (অস্ট্রেলিয়া), জোয়েল উইলসন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।
আইসিসি এলিট প্যানেল ম্যাচ রেফারি: ডেভিড বুন (অস্ট্রেলিয়া), জেফ ক্রো (নিউজিল্যান্ড), রঞ্জন মাদুগালে (শ্রীলঙ্কা), অ্যান্ড্রু পাইক্রফট (জিম্বাবুয়ে), রিচি রিচার্ডসন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), জাভাগাল শ্রীনাথ (ভারত)।