মাসুদ রানা সরকার, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেছেন, করতোয়া নদীর দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবেই। করতোয়া নদী দখল-দুষণমুক্ত রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব। তিনি বলেন, করতোয়া নদীর ১২৩ কিলোমিটার খনন, তীর সংরক্ষণ রাস্তা নির্মানের যে বৃহৎ প্রকল্প রয়েছে তারই অংশ হিসেবে এই কাজ শুরু হলো।তিনি বলেন চলতি ১৭ কিলোমিটার খনন শেষে আগামী দিনে ১০৬ কিলোমিটার নদীপথে কাজ হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি দেখবেন। তিনি করতোয়া নদীর তীরবর্তী স্থাপনাগুলো সংরক্ষণ করে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আহবান জানান।তিনিমঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে “জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও তৎসংলগ্ন এলাকায় করতোয়া নদীর পুনঃখনন ও ডানতীরে স্লোপ প্রটেকশন কাজ” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ‘বগুড়া শহর অংশে করতোয়া নদী পুনঃখনন, করতোয়া নদীর ডান তীরে ৭৩০ মি. স্লোপ প্রটেকশন, সৌন্দর্যবর্ধন ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ’ এর শুভ উদ্বোধন কালে একথা বলেন।পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী ও এই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচারক মোঃ নাজমুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বগুড়ার পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, বিপিএম, পিপিএম, বগুড়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মকবুল হোসেন, বগুড়ার সিভিল সার্জন মোঃ শফিউল আজম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মতলুবর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নিলুফা ইয়াছমিন, বগুড়া সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার ফিরোজা পারভীন।এর আগে স্বাগত বক্তব্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক খনন কাজের আদ্যপান্ত তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে করতোয়া নদীর উপর সংক্ষিপ্ত প্রামান্য চিত্র উপস্থাপন করা হয়। মাটিডালী থেকে মাদলা পর্যন্ত করতোয়া নদীর ১৭ কিলোমিটার খনন করা হচ্ছে। প্রায় ৫ থেকে ৬ ফুট গভীর করে নদী খনন করা হবে এবং তীর বাধাই করা হবে।একই সাথে এসপি ব্রিজ থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পর্যন্ত নদীর পুনঃখনন ও ডানতীরে স্লোপ প্রটেকশন, নদীর ডান তীরে ৭৩০ মিটার স্লোপ প্রটেকশন, সৌন্দর্যবর্ধন ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। এই কাজ শেষ হলে শহরের মানুষ একদিকে চলাচল করতে পারবে, অন্যদিকে নদী পাবে তার হারানো প্রবাহ।