ইসরাইলে অস্ত্র রফতানি বন্ধ করবে কানাডা। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জলি মঙ্গলবার এ ঘোষণা দিয়েছেন। এর এক দিন আগে ইসরাইলে অস্ত্র রফতানি বন্ধ করার ওপর কানাডার পার্লামেন্ট বাধ্যতামূলক নয়, এমন একটি প্রস্তাব পাস করে।
টরেন্টো স্টারকে জলি বলেন, ‘এটা বাস্তব বিষয়।’ তিনি ইঙ্গিত দেন যে এই পদক্ষেপ কেবল প্রতীকিই হবে না।
ইসরাইল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যকার সঙ্ঘাত নিরসনে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাজ করার আহ্বানের বৃহত্তর লক্ষ্যের অংশ হিসেবে এই ভোটাভুটি হয়। কানাডা সরকারও দ্বিরাষ্ট্র সমাধান চায়।
মূল প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিল মাইনরিটি বামপন্থী নিউ ডেমোক্র্যাটসরা। তারা কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল পার্টিকে ক্ষমতায় থাকতে সহায়তা করেছিল। কিন্তু তারা এখন মনে করছে যে ট্রুডো গাজায় ইসরাইল-হামাস যুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করতে পর্যাপ্ত উদ্যোগ গ্রহণ করছে না।
গত সপ্তাহে কানাডা জানিয়েছিল, তারা ইসরাইলে জানুয়ারি থেকে অ-প্রাণঘাতী সামরিক রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। ট্রুডো ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকারের বিষয়টি জোরালোভাবে ঘোষণা করলেও গাজায় সামরিক হামলার বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান হারে সমালোচনামূলক ভূমিকা গ্রহণ করেছেন।
ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইয়েল কাটজ অস্ত্র রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্তের জন্য কানাডার সমালোচনা করেছেন।
কানাডার পার্লামেন্টে আনা মূল প্রস্তাবে ইসরাইলে সকল ধরনের সামরিক পণ্য ও প্রযুক্তি রফতানি বন্ধ, অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং হামাসের কাছে অবৈধ অস্ত্র হস্তান্তর বন্ধ করা এবং ৭ অক্টোবর হামাসের হাতে আটক সকল বন্দীর মুক্তির আহ্বান জানানো হয়েছি।
প্রস্তাবে কানাডাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রদান করার আহ্বানও জানানো হয়েছিল। তবে পরে নেপথ্য আলোচনায় দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান হিসেবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল