ধুনটে এক খামারের আরো ৬টি গরুর মৃত্যু, প্রতিষেধক সংকট

Slider রাজশাহী


হাবিবুর রহমান হাবিব, ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : ধুনট উপজেলায় মথুরাপুর ইউনিয়নে গোয়ালভাগ গ্রামের রফিকুল ইসলাম নামে আরো এক খামারির ৬টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। জনবল ও প্রতিষেধক সংকটের কারণে গরুর রোগ মোকাবিলা করতে পারছে না উপজেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর।এ কারণে চিকিৎসার অভাবে ১৫দিনে কমপক্ষে অর্ধশত গরু মারা গেছে। ফলে খামারি ও গৃহস্থ পারিবারগুলো তাদের গরু নিয়ে চরম উৎকন্ঠার মধ্যে দিন যাপন করছেন।

ক্ষতিগ্রস্থ খামারি রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি প্রায় বিশ বছর ধরে বাড়িতে গরুর খামার গড়ে তুলছেন। কোন দিন এই খামারের গরুর মৃত্যু হয়নি। খামারে বিদেশী জাতের ১৫টি গরু ছিল।এক সপ্তাহ আগে হঠাৎ করে খামারের গরুগুলো আক্রন্ত হয়। এ অবস্থায় তড়িঘড়ি করে তিনি ৭টি গরু বিক্রি করেন। খামারের অবশিষ্ট ৮টি গরুর মধ্যে ১১-১৫ মার্চ পর্যন্ত ৬টি গরু মারা গেছে। মুখ দিয়ে লালা ঝরা, দুর্বলতা ও কিছু না খাওয়া ছিল লক্ষণ।পরে ঘাড়বাঁকা হয়ে মারা যায় আক্রান্ত গরুগুলো। এতে প্রায় ১৫লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বাকী দু’টি গরু চিকিৎসাধীন রয়েছে। গরুগুলো আক্রান্ত হলে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয়ে যোগাযোগ করে চিকিৎসা সেবা মিলেনি। পরে পল্লী চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করে গরুগুলো সুস্থ করা সম্ভব হয়নি।শুধু রফিকুল ইসলামের নয়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে পশ্চিমভরণশাহী গ্রামের লিটন মাহমুদের ১টি, রাজু আহম্মেদের ৩টি ও শাহীন আলমের ১টি গরু মারা গেছে।

এ বিষয়ে লিটন মাহমুদ বলেন, আমার গরুর মতো পার্শ্ববতি গ্রাম গুলোতেও গরু মারা যাচ্ছে।পল্লী চিকিৎসক সঠিক ভাবে রোগ নির্নয় করতে পারছে না। তারপরও আমরা পল্লী চিকিৎসকদের সব পরামর্শ অনুযায়ীই কাজ করছি। গরুগুলো খাচ্ছে না ঠিকভাবে। এভাবে খাওয়া ছেড়ে দিলে কত দিন বাঁচবে। আমরা চাই, দ্রুত এই সমস্যা থেকে উত্তরণ।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয়ে জনবল থাকার কথা ১১জন। কিন্ত সেখানে কর্মরত আছেন মাত্র ৪জন। এরমধ্যে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ১জন ও ৪জন উপ-সহকারী প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তার পদ শূন্য রয়েছে।একমাত্র ভেটেরিনারি সার্জন ১০মার্চ থেকে ৬মাসের প্রশিক্ষণে ঢাকায় অবস্থান করছেন। ফলে অত্র কার্যালয়ে জনবল সংকটে চিকিৎসা কার্যক্রম অচল হয়ে পড়েছে। ধুনট উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) ডাঃ হোসাইন মোঃ রাকিবুর রহমান বলেন, খুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে গরুগুলো মারা গেছে।

এ বিষয়ে প্রাণীসম্পদ কার্যালয়ের চিকিৎসক দল কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে কৃষকদের সচেতন করা হচ্ছে। প্রতিষেধকের বরাদ্দ পাওয়ায় সংকট কেটে উঠেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিষেধকের কার্যক্রম শুরু করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *