বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলছেন, এটি সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। তবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও আইনের প্রয়োগ দুক্ষেত্রেই কিছুটা বাড়াবাড়ি হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন। সম্প্রতি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়ার ঘটনায় সাংবাদিক প্রবীর শিকদারকে গ্রেফতারের পর তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা দেয়া হয়। এরপর গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি আইন নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। অধিকার কর্মীরা বলছেন, তথ্য প্রযুক্তি আইনটি নিবর্তনমূলক এবং এর ৫৭ ধারাটির অপব্যবহার করা হচ্ছে। বিশেষ করে আইনের ৫৭ ধারা বাতিলের দাবি উঠেছে। এ পটভূমিতে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭টি ধারাটি সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক কিনা- এমন প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে বলেন, দুইদিকেই কিছুটা বাড়াবাড়ি হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে এমন কিছু লেখা যাবে না বা স্ট্যাটাস দেয়া যাবে না যা অন্যের অধিকার, মর্যাদা বা শান্তি বিঘ্নিত করতে পারে। সেটা যেন অন্যের অনুভূতির ওপর আঘাত আনতে পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকা দরকার। পাশাপাশি আইনের নামে যারা এটি প্রয়োগ করবেন তারা অযথা হয়রানি করবেন, আইনের স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে নাগরিক অধিকার লঙ্ঘন করবেন সেটা নয়। সে ব্যাপারে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক হতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। মিস্টার চৌধুরী আরও বলেন, “অনেক ভাল আইনও অপ-প্রয়োগ বা অপব্যবহারের কারণে নিবর্তনমূলক হতে পারে। স্বেচ্ছাচারভাবে ব্যবহার করলে আইনের কারণে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে”। আইনটির অপব্যবহার রোধে কোন পদক্ষেপ নেয়া হবে কি-না এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আইন যেটি আছে তার অপপ্রয়োগ হলে বা তার কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ হলে নিশ্চই তা সুনির্দিষ্ট করার জন্য বা সংশোধন করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হবে। তবে প্রবীর শিকদার তার স্ট্যাটাসে আরেকজনকে অভিযুক্ত করে মৃত্যুর জন্য দায়ি বলে যেভাবে লিখেছেন, সেটিও কিন্ত সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতা নয়”।
সুত্রঃ বিবিসি
সুত্রঃ বিবিসি