গাজীপুর: কালীগঞ্জে প্রেমিকের সহযোগীতায় নবম শ্রেণির ছাত্রী (১৬) গণধর্ষণের মামলার ঘটনস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার মোঃ হারুনর রশীদ। যে কোন মূল্যে আসামীদের গ্রেফতারে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার(১৮ আগষ্ট) বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ শেষে সাংবাাদিকদের এক কথা জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
এ সময় সঙ্গে ছিলেন- জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, কালীগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এ্মএসপি). সালেহ আহমেদ ও
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. মুস্তাফিজুর রহমান।
পুলিশ সুপার উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, ধর্ষকরা যেখানেই যাক না কেন অতি শীঘ্রই আমার তাদের আটক করতে পারবো বলে আশা করছি। আর তাদের আটকের ব্যাপারে পুলিশের লোকজন বিভিন্নস্থানে অভিযান অব্যহত রেখেছে।
সোমবার রাতে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। ঘটনার একদিন পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার মো. হারুন-অর-রশিদ।
থানা সুত্রে জানা যায়, ওই স্কুল ছাত্রী গণধর্ষনের ঘটনায় পুলিশ হেফাজতে সোমবার সারাদিন জিজ্ঞেসাবাদ শেষে রাতে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে চার জনকে আসামী করে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ২৬)। মঙ্গলবার দুপুর ১টায় ওই মেয়েটিকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাজপাতালে পরীক্ষা-নিরিক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
উল্লখ্য, রোববার বিকেলে উপজেলার জামালপুর বাগমারপাড়া গ্রামের ওই ছাত্রীকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে প্রেমিক মতিউর রহমান (২৫) ও তার তিন বন্ধু মিলে তুলে আনে। সন্ধ্যায় একই উপজেলার বাহাদুরসাদী দক্ষিণবাগ গ্রামের নির্জন একটি টেকে নিয়ে সন্ধ্যা থেকে রাতভর প্রেমিক মতিসহ তার বন্ধু মাসুদ (২২), নজরুল (৩০) ও আরিফ (২৫) মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। সোমবার ভোরে মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ইউপি সদস্য জনবআলীর কাছে তুলে দেয়। ওই ইউপি সদস্য জামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল আলমের কাছে পাঠালে তার সহযোগীতায় ধর্ষিতাকে থানা হেফাজতে পাঠানো হয়। মেয়েটি উপজেলার একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত।