গাজীপুর: জেলার কালীগঞ্জে প্রেমিকের সহযোগীতায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণির এক স্কুল শিক্ষার্থী। অভিুক্ত ৪ আসামীকে গ্রেফতারে ষাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে।
সোমবার( ১৭ আগষ্ট) রাত ১১টায় কালিগঞ্জ থানায় ওই মামলা হয়। সোমবার ভোররাতে ঘটনা শেষ হওয়ার পর স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে ওই ধর্ষিতাকে প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদের পর দুপুরে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। সারাদিন পুলিশি তদন্ত শেষে রাতে ওই মামলা রুজুর হয়।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোঃ হারুনর রশীদ বলেছেন, মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে ষাঁড়াশি অভিযান চলছে।
ভিকটিম ও তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকেলে জামালপুর ইউনিয়নের বাগমারা গ্রামে থেকে ওই শিক্ষার্থীকে প্রেমিক মতি মিয়া ঘুরতে নিয়ে যাাবে বলে তার বন্ধু মাসুদ একটি মটরসাইকেলে করে মেয়েটিকে নিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যায় মেয়েটিকে বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের দক্ষিণবাগ গ্রামের কালভার্টের পাশে নির্জন স্থানে একটি টেকে নিয়ে যায় মাসুদ । কিছুক্ষণ পরে মেয়েটির প্রেমিক একই গ্রামের জনৈক আফসার উদ্দিনের ছেলে মতিউর রহমান মতি (২৫) সহ চার জনের একটি বখাটে দল মেয়েটিকে জোড়পূবর্ক রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
সোমবার ভোর ৪টায় মেয়েটির চিৎকারে শুনতে পায় পাশের টেকে জুয়া খেলায় ব্যস্ত থাকা একদল যুবক। পরে তারা ছুটে এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। তার জবানবন্ধি অনুযায়ী প্রথমে তাকে মতির বাড়ীতে নিয়ে যায়। মতি বাড়ীতে না থাকায় তার বাবা-মা তাদের ফিরিয়ে দেয়। পরে তাকে স্থানীয় ইউপি সদস্য জনাব আলীর কাছে তুলে দেয়। তিনি মেয়েটিকে জামালপুর ইউপি পরিষদে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদের পর দুপুরে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল আলমের সহযোগীতায় থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মনিরুল ইসলাম তাকে বিকেল ৩টায় থানায় নিয়ে আসে। মেয়েটি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের বেগম সাহিদা মোল্লা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মতির অন্য সহযোগীরা একই গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে মাসুদ(২২), শামস উদ্দিনের ছেলে নজরুল(৩০) ও মিনু মিয়ার ছেলে আরিফ(২৫)।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) . মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদেরকে আটকের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।