মায়ার পদের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের বিভক্ত আদেশ

Slider জাতীয় রাজনীতি

maya_Highcourt_468645674ঢাকা: ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রী পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের ওপর বিভক্ত আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১৭ আগস্ট) রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী রুল জারি করলেও কনিষ্ঠ বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল
আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী কোন কর্তৃত্ববলে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রী পদে আছেন তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে মায়াকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী আবেদনটি এখন প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য প্রধান বিচারপতি তৃতীয় একক বেঞ্চ গঠন করে দেবেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে রিট আবেদনকারী আইনজীবী ইউনুচ আলী আকন্দ নিজে শুনানি করেন। মায়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার ও সাঈদ আহমেদ রাজা।

এর আগে গত ৭ জুলাই রিট আবেদনটি দায়ের করেন আইনজীবী মো. ইউনুচ আলী আকন্দ।

গত ১৪ জুন একটি দুর্নীতি মামলায় মায়াকে খালাস করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে নতুন করে আপিল শুনানির আদেশ দেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের ওই রায়ের পরে মায়ার পদে থাকা নিয়ে দুই রকম বক্তব্য আসে।

এ অবস্থায় দুর্নীতির মামলায় খালাসের রায় বাতিল হওয়ার পর কোন কর্তৃত্ববলে এখনও মন্ত্রী ও এমপি পদে রয়েছেন, তা চ্যালেঞ্জ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মায়ার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে এ রিট আবেদন করেন ইউনুচ আলী আকন্দ।

আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ৬৬ এর ২ (ঘ) দফা অনুসারে দণ্ডিত ব্যক্তি সংসদ সদস্য বা মন্ত্রী পদে থাকতে পারেন না। সংবিধানের ওই অনুচ্ছেদে সংসদে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা ও অযোগ্যতার বিষয়ে বলা হয়েছে, ‘যদি কেউ নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অনূন্য দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছরকাল অতিবাহিত না হয়ে থাকে, তবে তিনি সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য হবেন না’।

ইউনুচ আলীর মতে, যেহেতু মায়ার খালাসের রায় বাতিল হয়ে গেছে, সেহেতু তার সাজা বহাল হয়ে গেছে। এখন তিনি আর পদে থাকতে পারেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *