নেই চিরচেনা মানুষের ভিড়, দীর্ঘ লাইন কিংবা মেট্রোরেলে ওঠার তাড়াহুড়া। কর্মব্যস্ততা নেই যাত্রী সেবায় নিয়োজিত মেট্রোলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও। অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্যেই সবাই কাজ করছেন। পবিত্র শবে বরাতের ছুটির দিনে এমন চিত্রই দেখা গেছে, রাজধানীর শাহবাগ, ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয় এবং বাংলাদেশ সচিবালয় মেট্রোরেল স্টেশনে।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে যথা নিয়মে মেট্রোরেলে চলাচল শুরু হলেও মানুষের উপস্থিতি একেবারেই নগণ্য। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, এসব স্টেশনের চত্বর অন্যান্য দিনের তুলনায় একেবারেই ফাঁকা। মূলত, আজ অফিসগামী মানুষের চাপ না থাকায় এমন ফাঁকা পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তবে কিছু সময় পর পর অল্প পরিমাণে যাত্রীর দেখাও পাওয়া যাচ্ছে। ভিড় না থাকায় টিকিট ভেন্ডিং মেশিন (টিভিএম) থেকেই সময়ের মধ্যে একক যাত্রা টিকিট সংগ্রহ করতে পারছেন তারা।
সংশ্লিষ্ট কয়েকজন বললেন, এখন পর্যন্ত মানুষের তেমন একটা ভিড় নেই। দুপুরের পর থেকে হয়তো ভিড় কিছুটা বাড়তে পারে। আর বইমেলার জন্য বিকেলে ভিড় বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আমাদের স্বাভাবিক সেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
আর সকাল থেকে যারা মেট্রো স্টেশনে আসছেন তাদের মধ্যে নিয়মিত যাত্রীর চেয়ে ঘুরে দেখতে এসেছেন এমন যাত্রীর সংখ্যাই বেশি। অধিকাংশইরাই দলবেঁধে প্রথমবারের মতো মেট্রোরেলে চড়ার অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য এসেছেন।
কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী পার্থ বিশ্বাস বলেন, অনেকদিন ধরেই আমরা মেট্রোরেলে চড়বো এমনটি ভাবছিলাম। সময় সুযোগ হলেও ভিড়ের কারণে আসেনি। আজকে ছুটির দিন মেট্রোরেল খোলা থাকবে নিশ্চিত হওয়ার পর বন্ধুরা সবাই মিলে ঘুরতে এসেছি। কোনো ভিড় পাইনি। খুব সহজেই অটো মেশিন থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে পেরেছি। ভালো লাগছে। আমরা টিএসসি থেকে মতিঝিল যাব। আবার মেট্রোরেলে চড়েই ফিরে আসবো। প্রথম মেট্রোরেলে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা হবে।
শামসুন্নাহার নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমার বাসা উত্তরায়। সবসময় মেট্রোরেলেই আসা-যাওয়া করি। এমনিতে সবসময়ই ভিড় বেশি থাকে। সেজন্য গতকাল হলেই ছিলাম। ছুটির দিনের সকালে মেট্রোরেল ফাঁকা থাকবে এমন ধারণা ছিল। এখন এসে দেখছি সত্যিই মানুষজনের উপস্থিতি একেবারে নেই।
অপরদিকে, যানজটের নগরীতে আজ সড়কপথেও দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। সকাল থেকে একেবারেই ফাঁকা ছিল রাজধানীর বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ এবং জনবহুল সড়কগুলো। অবশ্য গণপরিবহন কম থাকলেও দেখা গেছে রিকশার আধিপত্য। সড়কের দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরাও সময় পার করছেন অনেকটা নির্ঝঞ্জাট ভাবে।