গাজীপুর: রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করে এক মুঠো ভাতের জন্য থানায় রাইটারী( কাগজপত্র লেখালেখি) কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন মুক্তিযোদ্ধা নবী হোসেন(৭০)। থানার সামনে লেগুনার ধাক্কায় মৃত্যু হওয়ায় থানায় রাইটারী করতেে আর আসবেন না মুক্তিযোদ্ধা নবী হোসেন।
শনিবার(১৫ আগষ্ট) সকাল ১১টায় টঙ্গী থানার সামনে মুক্তিযুদ্ধা নবী হোসেন লেগুনার ধাক্কায় আহত হন। বিকাল সাড়ে ৪টায় টঙ্গীর নিউ লাইফ নামের বেসরকারী একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে খবর প্রকাশ হয়।
নবী হোসেনের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার লংগাইর গ্রামে। দারিদ্রতার জন্য তিনি টঙ্গী থানার আশপাশে কোথাও রাত্রী যাপন করে টঙ্গী থানায় রাইটারের কাজ করতেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত থানায় বিচার প্রার্থীেদের বিভিন্ন কাগজপত্র লেখালেখি করতেন তিনি। শনিবার সকালে তিনি থানায় আসেন। কাজের ফাঁকে নাস্তা করতে বাইরে যাওয়ার সময় সকাল ১১টায় থানার সামনে লেগুনার ধাক্কায় আহত হন তিনি। টাকা পয়সা না থাকায় হাসপাতালে যথাযথ চিকিৎসার অভাবে মারা যান তিনি।
নিহতেন পরিবার ও পুলিশ জানায়, থানার সামনে ড্রাইভিং শিখতে থাকা একটি লেগুনা তাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি আহত হন। এ সময় থানার সামনে অপেক্ষমান লোক জন তাকে উদ্ধার করে নিকটস্থ্য নিউ লাইক নামের বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করেন। বিকাল সাড়ে ৪টায় তিনি মারা যান।
নিহতের স্বজনরা জানায়, টাকা পয়সা না থাকায় তার কোন চিকিৎসা হয়নি। অবহেলায় রুগীর মৃত্যু হয়েছে বুঝতে পেরে ক্লিনিকের মালিক প্রথমে ৫ হাজার টাকায় রফা করার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়। সুযোগ বুঝে পুলিশ আসার আগেই চম্পট দেয়।
টঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোহাম্মদ আলী জানান, নবী হোসেন একজন মৃক্তিযোদ্ধ্ ছিলেন। থানায় বিভিন্ন মানুষের জিডি অাভযোগ লিখে দিতেন। সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে তিনি মারা গেছেন।