বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে যারা চাঁদাবাজি করে তাদেরকে স্বাধীনতাবিরোধী বলে আখ্যায়িত করেছেন গণফোরাম সভাপতি ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন। বলেছেন, দেশের মালিক হয়েও আমরা অসহায় বোধ করছি। যারা বঙ্গবন্ধুর নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি করে তারা গু-া। তাদের দেখলেই বলবেন, ধর, ধর গু-াদের ধর। আজ বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গণফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন। কামাল হোসেন বলেন, জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ। তারা জান-মালের নিরাপত্তা চায়। কতিপয় নামকাওয়াস্তে ছাত্রের কাছে অস্ত্র দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে। পাকিস্তানের এনএসএফের হাতেও অস্ত্র তুলে দেয়া হয়েছিল। গলায় সাপ পেঁচিয়ে ভয় দেখাত। এদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই। এরা বঙ্গবন্ধুর নাম নিলে থাপ্পড় মারবেন? তিনি বলেন, যারা লীগ লীগ করে, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাদের কোন সম্পর্ক নেই। যারা চাঁদাবাজ, ধান্ধাবাজ ও হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করে তাদের কি বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে পিঠ চাপড়াতেন? ওরা বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার বিরোধী। প্রখ্যাত এই সংবিধান প্রণেতা বলেন, ৭৫-এ অনেক লীগ করা নেতারা আপস করেছিলেন। নীতির প্রশ্নে আমরা আপস করিনি। আমরা তো বিজয়ী। আমরা কেন, আপস করবো। ড. কামাল বলেন, এখান থেকে বেরিয়ে গেলে গুলি করবে? তারপরও মুখ বন্ধ করব না। আমরা বাঙালি। আমাদের মুখ খুলিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। যতদিন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থাকবে ততদিন মুখ বন্ধ করব না। পুলিশ দিয়ে হুমকি দিবে? আগে ৩২ নম্বরে কেউ যেত না। প্রথমে আমরা কিছু লোক যেতাম। আস্তে আস্তে ভয় কেটে গেছে। আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা এখন ক্ষমতায়। সত্য কথা বললে এখন প্রধানমন্ত্রীর নামের সামনে থেকে আগে শেখ বাদ দিতে হবে। না হয় আমাদের বোবা হয়ে থাকতে হবে। আমরা এখন বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিও করতে পারছি না। আবার চুপও থাকতে পারছি না। গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টুর সঞ্চালনায় আলোচনায় সভায় গণফোরাম প্রেসিডিয়াম সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল, ফরোয়ার্ড পার্টির আহ্বায়ক আ ব ম মোস্তফা আমিন, এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।