রমজান আলী রুবেল, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ গাজীপুর শ্রীপুরে কেওয়া পশ্চিম খন্ড গ্রামের মসজিদ মোড় এলাকায় কাপড় ব্যবসায়ী হৃদয় (২২) এক যুবক তার স্ত্রীর হাত হাত-পা খাটের সাথে বেঁধে রেখে আত্মহত্যা করে বলে জানা যায়
৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে কাপড়ের দোকান থেকে ভাড়া বাড়িতে আসেন হৃদয়। কিছুক্ষণ পর তিনি আবার দোকানে চলে যান। এক ঘন্টা পর এসে দরজা বন্ধ করে দিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে হাসিঠাট্টা করেন। এরপর চলে গিয়ে রাতে বাসায় ফিরে হৃদয় প্রথমে আর্জিনার (স্ত্রী) দুই হাত খাটের সঙ্গে বাঁধেন এবং দুই পা বেঁধে দিয়ে আত্মহত্যার জন্য ঘরে ফ্যানের হুকে ওড়না লাগাতে থাকেন। আর্জিনা তখনো কিছু বলতেছেনা কারন সে ভাবতেছে তার সাথে দুষ্টামি করতেছে। এক পর্যায় আর্জিনা দেখে হৃদয় ফ্যানের হুকে ওড়না লাগিয়ে ঝুলে পড়েন।তখন সে ডাক চিৎকার শুরু করে, তার চিৎকার শুনে আশেপাশের লোক আসে এবং দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে দেখে হৃদয়ের ঝুলন্ত মরদেহ।
নিহত হৃদয় (২২) মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার পারিঘাটা গ্রামের পিঞ্জর মিয়া শাহিনের ছেলে। প্রায় দুই যুগ ধরে হৃদয়ের বাবা শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিম খণ্ড গ্রামের নুরুল চেয়ারম্যানের বাড়ি এলাকায় বসবাস করছেন। সেখানে তাঁদের কাপড়ের ব্যবসা আছে।
নিহত হৃদয় মৃত্যুর আগে তার স্ত্রীকে বলে যায়, আমার আগে বউ আছে যাকে আমি পাঁচ বছর আগে বিয়ে করেছি । আমার মৃত্যুতে তোমার কোন দোষ নাই, এসব কথা আর্জিনার কাছ থেকে জানা যায় এবং সেগুলো মোবাইলে ভিডিও করা আছে বলেও জানা যায়।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. এনায়েত কবির বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’