গাজীপুর: নানা অজুহাত দেখিয়ে একই কর্মস্থলে চার বছর অতিক্রম করছেন এক শিক্ষা অফিসার। বিভিন্ন সময় বদলী হলেও আইনী মারপ্যাচে ও ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে তিনি থেকেই যাচ্ছেন এক জায়গায়। নতুন সরকার আসার পর তিনি ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে। গাজীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজের হয়ে কাজ শেষে এখন নতুন এমপি ও প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী টুসিকে ফুল দিলেন তিনি। এই ফুল যেন তাকে বাকী সময়টা পার করার সুযোগ তৈরী করে দেয় এই আশাই এখন ভরসা ভাগ্যবান গাজীপুর সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামীম আহম্মেদের।
গাজীপুরে তার আমলে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অসংখ্য সংবাদ গণমাধ্যমে একাধিকবার প্রকাশ হয়েছে। তদন্তও হয়েছে। কিন্তু তদন্তকেও প্রভাবিত করেছেন তিনি। তাই অবিলম্বে তার প্রত্যহার চায় ভুক্তভোগীরা।
জাান গেছে, সরকারের প্রাথমিক শিক্ষায় বরাদ্দের বিভিন্ন খাতের টাকা কাজ না করে ভুয়া ভাউচারে উত্তলন করে আত্মসাৎ করা, শিক্ষক বদলিতে টাকা নিয়ে অনিয়ম করা, সহকারী শিক্ষা অফিসারদের( এটিও) হয়রানি করা, খারাপ আচরণ করার ইতিহাস শামীম আহম্মেদের অহরহ। অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ায় বদলি করলে বদলির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল মামলা বদলী ঠেকিয়ে রাখেন তিনি। ছেলের পরিক্ষা র অযুহাতে২০২১ সালে মামলা করলেও আজও সে আদেশ বহাল রাখা সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে এই শামীমের বিরুদ্ধে। শামীম তার কর্মজীবনে যেখানেই বদলি হয়েছেন সেখান থেকেই কোনো না কোনো অনিয়মের অভিযোগে বদলি হয়েছেন। গাজীপুরের কাপাসিয়া, কালিগঞ্জ সহ সব জায়গায় তার অনিয়মের অভিযোগ আছে। সহকর্মীরাও তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ করেছিলো। করোনা পরবর্তী করনীয় নির্ধারনে সরকার প্রাথমিক শিক্ষায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিয়েছে যার ১% কাজও হয়নি কোনো বিদ্যালয়ে। এ্ বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া অনুরোধ করছে অধিকাংশ শিক্ষক ও সহকর্মীরা। অভিযোগ আছে জামাতে ইসলাম এর গোলাম আজম এর বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও গ্রামে বর্তমান টিও শামীম সাহেবের বাড়ি ও একই এলাকায় এবং পারিবারিক ভাবে সক্ষতা আছে গোলাম আজম এর পরিবারের সাথে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলছে এই টিও পরিকল্পিত ভাবে প্রাথমিক শিক্ষায় সরকারের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করছে যা তদন্ত করা প্রয়োজন।
চলবে–