ঘুমধুম সীমান্তে ৪০০ চাকমা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায়

Slider ফুলজান বিবির বাংলা


বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী দল আরাকান আর্মির (এএ) মধ্যে থেমে থেমে বোমাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে সীমান্তের ওপারে ৪০০ চাকমা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় আছে।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে বসবাসকারী ৪০০ চাকমা খাদ্যাভাব এবং ঝুঁকির কারণে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় আছেন। নতুন করে মিয়ানমার থেকে কাউকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে না। সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছে ।

এর আগে দুপুরে টেকনাফের হোয়াইক্ষ্যং উলুবনিয়া পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গা ৫ জনের একটি পরিবার অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেন। পরে তাদের ফিরিয়ে দেন বিজিবি।

টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক কমান্ডার লে. কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, হোয়াইক্যং উলুবনিয়া পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গা একটি পরিবার অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। পরে বিজিবি তাদের পুশব্যাক করে। সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি কঠোর অবস্থানে আছে।

এদিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় চলমান অস্থিরতার কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ করা হয়েছে। পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *