ফাহিমা নূর/মোস্তাফা কামাল/ জাকারিয়া/ আলী আজগর পিরু, বিশ্ব ইজতেমা ময়দান থেকে: ‘হে আল্লাহ আমাদের অন্তর থেকে কুফরি, মোনাফেকি দূর করে দাও। হে আল্লাহ তোমার নির্দেশিত পথে চলার তৌফিক দাও। হে আল্লাহ, আমাদের সকল নেক চাহিদা পূরণ করে দাও। হে রাহমানুর রাহীম আমাদের ওপর রহম করো। আমাদেরকে রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি দাও। আমাদের ওপর দয়া করো যেভাবে তুমি তোমার নেক বান্দাদের ওপর রহম করেছ। হে আল্লাহ, আমাদের পরিপূর্ন ঈমান দাও। তোমার আজাব থেকে পরিত্রাণ দিয়ে জান্নাত নসিব করো। জাহান্নামের আগুন আমাদের জন্য হারাম করে দাও। বিশ্বের সকল মুসলিমকে হেফাজত করো। সকল আসমানী বালা আসমানে উঠিয়ে নাও, জমিনের বালা জমিতে দবিয়ে দাও। সকল প্রকার ষড়ডন্ত্র থেকে তুমি মুসলানদের হেফাজত করো।
আজ রবিবার সকাল ৯ টা থেকে ৯ টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা জুবায়ের আহমেদ।
কায়মনোবক্যে আকুতি জানিয়ে মোনাজতে আরো বলা হয়, হে আল্লাহ আমাদের জীন্দিগীর গুনাহ মাফ করে দাও। যে মাফ চায় তাকে তুমি মাফ করে দাও। হে আল্লহা আমরা গুনাহ স্বীকার করতেছি। প্রিয় হাবিবের এতিম উম্মতকে মাফ করে দাও। হে আল্লাহ তুমি তো ক্ষমাশীল, তোমার কাছেই আমরা ক্ষমা চাইব। তোমার দ্বীনের উপর আমাদের চলা সহজ করে দাও। হে আল্লাহ, তুমি আমাদের উপর সন্তুষ্ট হয়ে যাও। হে আল্লাহ আমাদের দুনিয়ার জীন্দিগী সহজ করে দাও, শান্তির জীন্দিগী নসীব করে দাও, আখেরাতের জীন্দিগী নসীব করে দাও। হে আল্লাহ আমাদের দ্বীলে তোমার জিকির নসীব করে দাও, লোক দেখানো লেবাস খতম করে দাও। হে আল্লাহ আমাদের পেরেসানির রাস্তা বন্ধ করে দাও, হকের রাস্তা খুলে দেওয়াতো তোমারই কাজ। হে আল্লাহ ইজতেমাকে কবুল করো। ইজতেমার আয়োজনে যারা শ্রম দিয়েছে তাদের কবুল করো। যারা তোমার কাছে হাত তুলেছে সকলকে তুমি কবুল করো। ইজতেমার বক্তা ও শ্রোতা সকলকে তুমি কবুল করো। সারা বিশ্বের মুসলমানের জান-মালকে তুমি হেফাজত কর, শান্তি শৃংখলা ফিরিয়ে দাও। দাওয়াতে তাবলিগকে বিশ্বব্যাপী প্রসারিত করো’- ইত্যাদি গভীর আকুতিপূর্ণ মিনতি, অসীম অনন্ত প্রেমময় আল্লাহর নিকট নিজেকে আত্ম সমর্পণ ও অশ্রুসিক্ত আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে রবিবার শেষ হলো পবিত্র হজ্বের পর মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ তাবলিগ জামাতের ৫৭তম আসরের আলমী শুরার তত্ত্বাবধানে শুরায়ে নেজামের বিশ্ব ইজতেমা।
মোনাজাতে সমগ্র বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, মুক্তি, সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি, নিরাপত্তা, ইহ ও পারলৌকিক কল্যাণ কামনা করে, বিভেদ ভুলে ঐক্যের আহবানে মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে কাকুতি মিনতি জানানো হয়। নানা ঝক্কি ঝামেলা উপেক্ষা করে গভীর ভাবাবেগপূর্ণ পরিবেশে ‘আমীন, আল্লাহুমা আমিন,’ ধ্বনিতে টঙ্গীর আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত করে মহামহিম ও দয়াময় আ¬ল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে অপার করুনা ও রহমত কামনা করে রাজধানী ঢাকাসহ সমগ্র বাংলাদেশের প্রায় ৩০ লক্ষাধিক মুসল্লি ছাড়াও আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন বিশ্বের অর্ধশতাধিক বিদেশী রাষ্ট্রের প্রায় আট সহস্রাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলমান।
সকাল থেকে দিক নির্দেশনামূলক বয়ানের পর লাখো মানুষের প্রতীক্ষার অবসান ঘটে বেলা ৯টায় । জনসমূদ্রে হঠাৎ নেমে আসে আবেগঘন পিনপতন নিরবতা। যে যেখানে ছিলেন সেখানে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে হাত তুলেন আল্লাহর দরবারে। আখেরী মোনাজাতকে ঘিরে গতকাল লাখ লাখ মুসলমান যেন ভেঙে পড়েছিলেন টঙ্গীতে। রাজধানী ঢাকা ছিল প্রায় ফাঁকা। টঙ্গী, গাজীপুর, উত্তরাসহ চারপাশের এলাকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, মার্কেট, বিপনীবিতান, অফিসসহ সব কিছু ছিল বন্ধ। এছাড়া শিল্প নগরী টঙ্গীর হাজারো বহুতল ভবনের ছাদে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মা ও বোনেরা এ আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন। সকলের প্রাণান্তকর চেষ্টা ছিল দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লিদের সাথে মোনাজাতে শরীক হয়ে নিজের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা।
এবার বিশ্বের ৭২ টি দেশের আট হাজার বিদেশী মেহমান ইজতেমায় শরীক হন।
বাঁধভাঙ্গা গণজোয়ার : আখেরী মুনাজাতে শরীক হতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ টঙ্গী অভিমুখে ছুটতে থাকেন। বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহনকারী লাখ লাখ মুসল্লি ছাড়াও রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার হাজার হাজার মানুষ ভিড় এড়াতে নানা ঝক্কি ঝামেলা উপেক্ষা করে রাতেই টঙ্গীমুখো হয়। দূর-দূরান্ত থেকে আল্লাহ প্রেমী মুসলমানরা রেলপথ, সড়ক পথ, নৌপথসহ বিভিন্ন যানবাহন এবং অনেকে পায়ে হেঁটে টঙ্গীতে পৌছে অবস্থান নিতে শুরু করেন। যতই সময় গড়াতে থাকে ততই মানুষের ঢল আঁচড়ে পড়তে থাকে তুরাগের তীরে। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের সমাবেশ ঘটে আখেরী মোনাজাতে। সকাল থেকে সড়কপথে টঙ্গীমুখি সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় দীর্ঘ পথ হেঁটে টঙ্গী পৌঁছতে হয়েছে লাখো মানুষকে। শনিবার মধ্যরাত থেকে নদীপথ, রেলপথ ও যানবাহন শূন্য সড়ক-মহাসড়ক দিয়ে পায়ে হেটে টুপি পাঞ্জাবী পরা মানুষের বাধঁভাঙ্গা জোয়ার শুরু হয়। চারিদিকে যত দূর চোখ যায় শুধু টুপি-পাঞ্জাবী পড়া ধর্মপ্রান মানুষ আর মানুষ। সকাল ৮টার মধ্যেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় তুরাগ তীরের পুরো ইজতেমাস্থল ও চারপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা। ফলে আশপাশের খোলা জায়গা, বাসা-বাড়ি, ভবন, ভবনের ছাদ ও অলি-গলিসহ যে যেখানে পেরেছেন পাটি, চটের বস্তা, খবরের কাগজ বিছিয়ে কাঙ্খিত মোনাজাতে অংশ গ্রহন করেছেন।
সমাপনী ও হেদায়েতী বয়ান: সকালে ইজতেমার মোনাজাতের আগে বাদ ফজর হেদায়েতি বয়ান করেন পাকিস্থানের মাওলানা জিয়াউল হক (রাইবেন্ড)। এরপর নসিয়তমূলক বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা। তিনি ইমান, নামাজ, আমল, তালিম, এলেম, জিকির, দাওয়াতের গুরুত্ব তুলে ধরে বয়ান রাখেন। মোনাজাত পূর্ব বয়ানে মাওলানা জুবায়ের আহমেদ সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে তাবলীগ ও দাওয়াতে মেহনতের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
ফিরতি যাত্রায় বিড়ম্বনা ও যানজট: গতকাল বিশ্ব ইজতেমার আখেরী মোনাজাত শেষে মানুষ এক সাথে ফেরার সময় সড়ক-মহাসড়কগুলোতে জনজট ও যানজটে একাকার হয়ে গিয়েছিল। এ অবস্থাটি আখেরী মোনাজাতের পর প্রতি বছরই ঘটে থাকে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। চার-পাঁচ দিন ধরে টঙ্গীতে জমায়েত হওয়া মুসল্লি¬¬রা এক যোগে নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরতে চাইলে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হন। হাজার হাজার বৃদ্ধ, শিশু-কিশোর ও মহিলা মাইলের পর মাইল হেঁটে মোনাজাতে শরীক হন এবং একইভাবে ফিরেন। দুপুরের পর সীমিত আকারে যানবাহন চলাচল শুরু হলেও পরিস্থিতির তেমন কোন উন্নতি হয়নি। দুর দুরান্তের যাত্রীরা রিকসা-ভ্যান, টেম্পু, ট্রাক, কাভার্ডভ্যানে চড়ে ভেঙ্গে ভেঙ্গে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ান দিতে দেখা গেছে। অপরদিকে, টঙ্গী স্টেশনে ফিরতি যাত্রীদের জন্য অপেক্ষমান ট্রেনগুলোতে উঠতে মানুষের জীবনবাজির লড়াই ছিল উদ্বেগজনক। ট্রেনের ভিতরে জায়গা না পেয়ে ছাদে ও দরজা-জানালায় ঝুলে শত শত মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফিরতে দেখা যায়। এক পর্যায়ে মানুষের জন্য ট্রেন দেখা যাচ্ছিল না।
পরিত্যক্ত জুতা ও পত্রিকার কাগজ: আখেরী মোনাজাত শেষে হুড়োহুড়ি করে ইজতেমা ময়দান থেকে বের হতে গিয়ে অগণিত জুতা ও সেন্ডেল ফেলেই খালি পায়ে মাঠ ত্যাগ করেন ধর্মপ্রাণ অনেক মুসল্লিরা।
এছাড়াও মোনাজাত শেষে ইজতেমা মাঠ ও আশপাশের সড়কগুলোকে বিপুল পরিমাণ পত্রিকার কাগজ, জুতা ও সেন্ডেল পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয় কিছু লোক ও টোকাইরা পরিত্যক্ত জুতা ও সেন্ডেল বস্তায় ভরে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
বিশ্ব ইজতেমায় প্রথম পর্বে ১৯ মুসল্লির মৃত্যু: বিশ্ব ইজতেমায় আজ রবিবার সকাল পর্যন্ত একজন পুলিশ সদস্য সহ ১৯জনের মৃত্যু হল । এরমধ্যে ইজতেমা ময়দানে ১৩জন, ময়দানে আসার পথে একজন পুলিশ সদস্য সহ ছয় জন নিয়ে মোট ১৯জন মারা গেলেন।
নিহতরা হলেন, রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার সানোয়ার হোসেন (৬০), চট্রগ্রামের আনোয়ারার জলিলের ছেলে আলম (৫৬), নরসিংদীর নুরুল ইসলামের ছেলে শাহনেওয়াজ (৬০) সিরাজগঞ্জ জেলার ওসমান গনির ছেলে আল মাহমুদ(৭০),
শেরপুর জেলা সদরের জুগনিবাগ গ্রামের মৃত সমশের আলীর ছেলে নওশের আলী (৬৫), ভোলা জেলার পরাগগঞ্জ থানার সামানদার গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে আ. কাদের (৫৫) ও নেত্রকোনা সদরের কালিয়াঝুড়ি এলাকার হোসেন আহম্মদের ছেলে স্বাধীন (৪৫), নেত্রকোনা থানার কুমারী বাজার গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আবদুস সাত্তার (৭০), একই জেলার বুড়িঝুড়ি গ্রামের স্বল্পদুগিয়া গ্রামের আব্দুস ছোবাহানের ছেলে এখলাস মিয়া (৬৮), ভোলা জেলার ভোল্লা গ্রামের নজির আহমেদের ছেলে শাহ আলম (৬০), জামালপুর জেলার তুলশীপুর এলাকার পাকুল্লা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মতিউর রহমান (৬০), টঙ্গীর বসির মিয়ার ছেলে আঃ জব্বার(৫৫)। আরেক জনের পরিচয় জানা যায় নি।
ময়দানে আসার সময় মারা যাওয়া ছয়জন হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার ধামাউরা গ্রামের ইউনুছ মিয়া (৬০), চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার চৌহদ্দীটোলা গ্রামের জামান মিয়া (৪০), ইজতেমায় আসার পথে বাসচাপায় পুলিশ সদস্য হাসান উজ্জামান (৩০) মারা যান, শেরপুরের আমেলা খাতুন(৬০), ঢাকার মিরপুর সাড়ে এগারর বাসিন্দা মোশাররফ আহমেদের ছেলে মোবাশ্বের আহমেদ (৬৮) ও আরেক জনের পরিচয় পাওয়া যায় নি।
তাশকিলের কামরায় চিল্লাভুক্ত মুসল্লি : ইজতেমার প্যান্ডেলের উত্তর-পশ্চিমে তাশকিলের কামরা স্থাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন খিত্তা থেকে বিভিন্ন মেয়াদে চিল্লায় অংশ গ্রহনেচ্ছু মুসুল্লীদের এ কামরায় আনা হচ্ছে এবং তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে। পরে কাকরাইলের মসজিদের তাবলিগি মুরুব্বীদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ি এলাকা ভাগ করে তাদের দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাবলিগি কাজে পাঠনো হবে।
মোনাজাতে নারীদের অংশগ্রহণ: ইজতেমায় নারীদের অংশ নেয়ার বিধান না থাকলেও ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার নারী ইজতেমা ময়দানের আশপাশের সড়ক, মার্কেট ও বাসা-বাড়ির ছাদে অবস্থান নেন। মাঝে মধ্যে বেপর্দা নারীর কারনে অনেকটা বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সড়ক জুড়ে বাজার: রবিবার ভোর থেকে টঙ্গীর প্রায় সব রাস্তা পরিণত হয় বাজারে। এমন কিছু নেই যা পাওয়া যায়নি এসব বাজারে। ইজতেমা ফেরৎ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য দোকানিরা উচু গলায় চিৎকার করতে থাকেন ‘হাফ রেট- হাফরেট’ বলে। কম্বল, সুয়েটার, কোট-টাই, শাড়ি, লুঙ্গি, মাছ-মাংস, ডিম, সবজি, গুড়-মুড়ি, আপেল-কমলা থেকে শুরু করে চিনা মাটির তৈজসপত্র, হাড়িপাতিল, মোবাইল ফোন পর্যন্ত সব কিছুই বিক্রি হয়েছে। বাজারে সব কিছুর দাম কম- এ খবরে ছুটে আসতে দেখা গেছে দল বেধে মহিলাদের।
ইজতেমা আয়োজক কমিটির সন্তোষ প্রকাশ: টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরুব্বি প্রকৌশলী প্রকৌশলী মাহফুজুল হান্নান জানান, আলহামদুলিল্লাহ কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই এবারের এক পক্ষের ইজতেমা সমাপ্ত হয়েছে। ইজেতেমার সার্বিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মুসল্লিদের আসতে এবং ময়দানের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকায় আইনশংখলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সরকারের প্রতি ইজতেমা আয়োজক কমিটির পক্ষে সন্তোষ প্রকাশ করছি।