সিত্তের এক বাসিন্দা নারিনজারা নিউজকে বলেছেন, “তারা শহরে ছোট বাহনে করে ঘুরে বেরিয়ে লাউড স্পিকার এবং হ্যান্ড মাইকে কারফিউর ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া প্রশাসনের কর্মকর্তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে যারা রাতে বাইরে বের হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারফিউ সিত্তের পৌরসভাগুলো ছাড়াও বেশ কয়েকটি দুর্গম এলাকায় জারি করা হয়েছে।’
গত বছরের অক্টোবর থেকে সামরিক জান্তার অবকাঠামো লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করে স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। এরপর রাখাইনের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র লড়াই শুরু হয়। যা এখনো চলমান রয়েছে। এতদিন রাজধানী সিত্তের আশপাশে লড়াই চলছিল। তবে এখন এটি সিত্তেতে পৌঁছে গেছে। ফলে অনেকে এখন রাজ্যটির রাজধানী ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন।
সিত্তের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা এখন নিয়মিত রাতের বেলা গোলাগুলি এবং সেনাবাহিনীর বিমান ওঠা-নামার শব্দ শুনতে পাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে এক বাসিন্দা নারিনজারা নিউজকে বলেছেন, “রাতের বেলা, আমরা সামরিক বিমানের সঙ্গে যাত্রীবাহী বিমান ওঠার শব্দ শুনতে পাই। এরপর আবার নামার শব্দ শুনি। আমরা প্রতিদিন গোলাগুলির শব্দও শুনতে পাচ্ছি।”
সামরিজ জান্তার সেনারা বর্তমানে ইয়ো কায়া ব্রিজের নিচে এবং সাউথ কোরিয়া পোর্ট ব্রিজের কাছে অবস্থান নিয়েছেন। কারণ সিত্তের যে নদী রয়েছে সেগুলোতে এখান দিয়েই যেতে পারেন সাধারণ মানুষ।