মোল্লা তানিয়া ইসলাম তমাঃ ‘সেবা ও সদাচার, ডিএমপির অঙ্গীকার’- এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে, ডিএমপির ৪৯তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে, তুরাগ থানা পুলিশের উদ্যোগে সুধী সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে ডিএমপির তুরাগ থানার হল রুমে নানা আয়োজন ও কর্মসূচির মাধ্যমে উক্ত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় । তুরাগ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোস্তফা আনোয়ার এর সভাপতিত্বে ও ইন্সপেক্টর (অপারেশন) শেখ মফিজুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিতব্য অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বীর- মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ নাসির উদ্দিন, ৫২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ আহম্মেদ, তুরাগ থানার ইন্সপেক্টর ( তদন্ত ) আবু সাইদ মিয়া, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ আবুল হোসেন সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ । এসময় অনুষ্ঠানের সভাপতি তুরাগ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোস্তফা আনোয়ার তার বক্তৃতায় বলেন, ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে মহান মুক্তিযুদ্ধে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বীর পুলিশ সদস্যরা প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তোলেন । এরপর দেশপ্রেমিক বাঙালি এবং অকুতোভয় বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘ নয় মাস সংগ্রামের মাধ্যমে রচিত হয় স্বাধীনতা অর্জনের কালজয়ী ইতিহাস । ১৯৭৫ সালের ১৫ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পুলিশ সপ্তাহে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে বলেছিলেন, ‘স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে রাজারবাগের এবং পুলিশের ইতিহাস স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’ জাতির পিতা স্বাধীন বাংলাদেশের পুলিশকে জনগণের পুলিশ হিসাবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং তিনিই ঢাকা মহানগর পুলিশের স্বপ্নদ্রষ্টা । ১৯৭৬ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি ৬ হাজার পুলিশ সদস্য এবং ১২টি থানা নিয়ে যাত্রা শুরু করে ডিএমপি । দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ঢাকা মহানগরীর প্রায় ২ কোটি ২৫ লাখ সম্মানিত নাগরিকগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ডিএমপির কার্যক্রম ৫০টি থানায় বিস্তৃত হয়েছে । বর্তমান ডিএমপি সুযোগ্য কমিশনার হাবিবুর রহমান স্যারের নেতৃত্বে কাজ করছেন ৬ জন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি), ১২ জন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অতি. ডিআইজি), ৫৭ জন উপকমিশনারসহ (এসপি) ৩৪ হাজার অফিসার ও ফোর্স।