আমদানি করা ডিম কেন দেশে আসছে না

Slider অর্থ ও বাণিজ্য


সরবরাহ সংকটে আবারও অস্থির বাজার। সপ্তাহ ব্যবধানে ৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে ফার্মের মুরগির ডিমের দর। এমন পরিস্থিতিতে আমদানি করা ডিম কেন দেশে আসছে না, সেই প্রশ্ন সাধারণ মানুষের। এক্ষেত্রে সরকারের পদক্ষেপও কার্যকর নয়। অনুমতি পাওয়া আমদানিকারকরা বলছেন, সবধরনের প্রস্তুতি নেয়া আছে। ডিম আসতে পারে যেকোনো সময়।

চড়া দরের কারণে মাছ-মাংস কেনার সামর্থ হারানো বহু মানুষের আমিষের চাহিদা মিটছে ডিমে। কিন্তু আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে বাজার। টিসিবির হিসাবে, সপ্তাহ ব্যবধানে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম বেড়েছে প্রায় ৭ শতাংশ। খুচরা বাজারে মানভেদে একেকটি বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা পর্যন্ত। অথচ গেলো নভেম্বরে আমদানি করা মাত্র ৬২ হাজার ডিমের ধাক্কায় ১০ টাকার নিচে নামে পণ্যটির মূল্য।

এক ক্রেতা বলেন, আগে মাছের দাম বেশি হলে ডিম কিনতাম। এখন দেখি মাছের চেয়ে ডিমেরেই দর বেশি। ফলে ডিম কিনে খেতেও কষ্ট পেতে হচ্ছে আমাদের।

এক বিক্রেতা বলেন, বাজারে যে পরিমাণ ডিম আসার কথা, সেটার চেয়ে কম আসছে। কারণ, ফার্মে (খামার) ডিমের উৎপাদন কমে গেছে। আরেক বিক্রেতা বলেন, আগে যখন বিদেশ থেকে আসছিল, তখন মূল্য কম ছিল। এখন আসছে না, তাই দর বেশি।

বাজারে সরবরাহ বাড়ানোর মাধ্যমে ডিমের দর স্বাভাবিক রাখতে কয়েক দফায় অন্তত ২০টি প্রতিষ্ঠানকে আমদানির অনুমোদন দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ঋণপত্র খোলাসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিলেও আনতে পারেনি গেলো সাড়ে ৪ মাসে।

প্রাইম এনার্জির স্বত্বাধিকারী নিজাম উদ্দিন বলেন, যখনই আমরা ডিম নিয়ে আসার চেষ্টা করি, তখনই প্রান্তিক পর্যায়ে দাম কমে যায়। আমদানিকারকরা যাতে আমদানি করতে না পারেন, সেজন্য একটি মহল তৎপর থাকে। তারাই এই কারসাজি করে।

টাইগার ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. সাইফুর রহমান বলেন, ওই মহল মনে করছে, আমদানিকারকরা একবার আমদানি করেছে, আর করবে না। তাই তারা ডিমের মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন সরকার, জনগণকে সহায়তা করার সুযোগ এসেছে আমাদের। আবার আমরা আমদানি করে দরে ভারসাম্য আনার চেষ্টা করছি।

বিদেশি ডিমের ওপর শুল্ক ছাড়ের দাবি জানান আমদানিকারকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *