গ্রাম বাংলা ডেস্ক: থাকার কথা ছিল মাঠে। কিন্তু নেইমার এখন পূর্ণ বিশ্রামে। কলম্বিয়ান ডিফেন্ডার জুনিগার একটি রাফ ট্যাকল এই সুপারস্টার স্ট্রাইকারের বিশ্বকাপ শেষ করে দিয়েছে। তার অনুপস্থিতিতে ব্রাজিলও এখন নিজ দেশের বিশ্বকাপের দর্শক। সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে প্রিয় দলের ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার দুঃসহ যন্ত্রণা বেডরুমে বসে হজম করেছেন নেইমার। একপর্যায়ে টিভিও বন্ধ করে দেন ব্রাজিল সাত নম্বর গোল হজমের পর। জার্মানির কাছে বেদনাদায়ক পরাজয়ের পর আবার মাঠে ফিরেছে টিম ব্রাজিল। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে তারা মুখোমুখি হবে নেদারল্যান্ডসের।
হাই ভোল্টেজ লড়াই সামনে রেখে অনুশীলনে ব্যস্ত ব্রাজিলিয়ান সতীর্থদের সাথে দেখা করতে হঠাৎ করেই মাঠে হাজির হলেন নেইমার। সবার সাথে শুভেচ্ছাবিনিময়ও করেন। ভক্তদেরও হাত নেড়ে অভিবাদন জানান। সবশেষে মুখোমুখি হন সাংবাদিকদেরও। কথা বলেন তার ইনজুরি, ব্রাজিল-জার্মানি ম্যাচ ও ফাইনালে বিজয়ী কে হবে, তা নিয়ে। নেইমারের দেয়া সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ নিচে তুলে ধরা হলো :
প্রশ্ন : কোন দলকে চ্যাম্পিয়ন দেখতে চান?
নেইমার : আমি আর্জেন্টিনার সমর্থক নই। তবে মেসির সমর্থক। তাকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে দেখতে চাই। মেসি অ্যান্ড কোংকে আমি সাপোর্ট করব। ফুটবলে মেসি যা-ই করার প্রত্যাশা করবেন, আমি তার পাশে থাকব। আশা করি, তিনি বিজয়ী হবেন। এবং বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার সব যোগ্যতা মেসির রয়েছে।
প্রশ্ন : ইনজুরির পুরো বিষয়টি কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
নেইমার : প্রথমে মনে হয়েছিল শরীর থেকে পা আলাদা হয়ে গেছে। তবে আমি ভাগ্যবান যে, সমস্যা মারাত্মক নয়। আঘাত আর ২ সেন্টিমিটার নিচে হলে এখন হুইল চেয়ারে করে চলাফেরা করতে হতো। সত্যিই কঠিন ছিল সব কিছুই।
প্রশ্ন : মেনে নিতে পেরেছেন ইনজুরি বিষয়টি?
নেইমার : না, হয়তো কোনো দিন মেনেও নিতে পারব না। কারণ আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এটি ঘটেছে।
প্রশ্ন : জুনিগার ব্যাপারে আপনার বর্তমান অনুভূতি?
নেইমার : সে (জুনিগা) বলেছে, ইচ্ছা করেই ট্যাকল করেনি। এবং দুঃখওপ্রকাশ করেছে। ফলে তার ওপর কোনো ক্ষোভ রাখার প্রশ্নই আসে না। এরই মধ্যে আমি অন্তর থেকে তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি।
প্রশ্ন : ব্রাজিল-জার্মানি ম্যাচের ব্যাপারে কী বলবেন?
নেইমার : ইনজুরির ঘটনার পর সেমিফাইনালের ওই ম্যাচই জীবনের সবচেয়ে বাজে সপ্তাহের মুখোমুখি করেছে আমাকে। এখন আর পেছনে দেখতে চাই না। আশা করি, ডাচদের বিপক্ষে ব্রাজিল ঘুরে দাঁড়াবে। ইয়াহু স্পোর্টস ও এএফপি
