ঢাকা: সামাজিক সাইট ফেসবুকে এক খেলোয়াড়ের সমালোচনা করায় আজারবাইজানে একজন সাংবাদিককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার রাতে ছয় দুর্বৃত্ত সাংবাদিককে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার ভোরে ওই সাংবাদিক মারা যান।
নিহত ওই সাংবাদিকের নাম রাসিম আলিয়েভ। তিনি স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
যুক্তরাজ্যের প্রখ্যাত দ্য গার্ডিয়ান মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানায়, মারা যাওয়ার আগে সাংবাদিক রাসিম আলিয়েভ হাসপাতালে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।
সেই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ফেসবুকে সমালোচনা করার পর ওই খেলোয়াড় তাকে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানান। এরপর তিনি নির্দিষ্ট স্থানে গেলে ছয়জন দুর্বৃত্ত তাকে বেদম মারপিট করে। এতে তিনি মারাত্মক আহত হন।
এদিকে, সাংবাদিক রাসিম আলিয়েভের মৃত্যুর পর তার সহকর্মী সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, আলিয়েভের মৃত্যুর কারণে দেশে চরম অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।
সাংবাদিক আলিয়েভ স্থানীয় ফুটবল খেলোয়াড় জাভিদ হুসেনভের সমালোচনা করে ফেসবুকে পোস্ট দেন। তিনি জাভিদের সমালোচনা করে লেখেন, নিজের দেশকে অসম্মানজনকভাবে উপস্থাপন করা কারোরই উচিত নয়।
মূলত, ফুটবল খেলোয়াড় জাভিদ হুসেনভ স্থানীয় ক্লাব ‘গাবালা’ এবং জাতীয় দলে খেলে থাকেন। কিন্তু সাইপ্রাসে ইউরোপা লিগ ম্যাচে জাভিদ গ্রিক সাংবাদিকের সামনে তুরস্কের জাতীয় পতাকা নাড়েন। এ সময় ওই সাংবাদিক তার কাছে জানতে চান, কেন তিনি এ কাজ করলেন!
এরপরই সাংবাদিক আলিয়েভ ফেসবুকে জাভিদ সম্পর্কে এ মন্তব্য করেন।
এদিকে, ফেসবুকে এ ধরনের পোস্ট দেখে খেলোয়াড় জাভিদ এবং তার আত্মীয়-স্বজন আলিয়েভকে বার বার ফোন দিয়ে জানতে চান, কেন তিনি এ ধরনের কথা লিখেছেন। এক পর্যায়ে তাকে ফোন দিয়ে ঘটনার মীমাংসা করতে চান জাভিদ এবং তাকে চা খাওয়ার দাওয়াতও দেন। এরপর নির্দিষ্ট স্থানে যাওয়া মাত্রই ছয়জন দুর্বৃত্ত আলিয়েভকে মারপিট শুরু করেন।
তবে অভিযোগ সম্পর্কে জাভিদ হুসেনভ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এ ঘটনার পর ক্লাব থেকে জাভিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি খেলতে পারবেন না।
রাসিম আলিয়েভ ইনস্টিটিউট ফর রিপোর্টার্স ফ্রিডম অ্যান্ড সেফটির (আইএফআরএস) একজন সাংবাদিক হিসেবে কাজ করতেন।