বিশ্ব ইজতেমার ছয় দিন বাকী, চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি

Slider জাতীয়
Exif_JPEG_420

রিপন আনসারী টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে থেকে: ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার আর মাত্র ছয় দিন বাকী। ইজতেমার প্রস্তুতি পুরোদমে এগিয়ে চললেও অনেক কাজ বাকী। এখনো তৈরী হয়নি মূলমঞ্চ। মাঠের দক্ষিণ দিকে সহ বেশ কিছু জায়গায় প্যান্ডেল নির্মাম কাজও সম্পন্ন হয়নি।

বৃহস্পতিবার( ২৫ জানুয়ারী) বিশ্ব ইজতেমা ঘুরে জানা যায় এসব তথ্য।

দেখা যায়, বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের দক্ষিণ দিকে খালি। খালি জায়গায় প্যান্ডেলের বাঁশ পোতা হলেও সামিয়ানা টানানোর কাজ দৃশ্যমান নেই। বিদেশী মেহমানদের থাকা খাওয়া ও গোসলের স্থানগুলো প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। যারা মেহনতি পরিশ্রম করতে এসেছেন তারা টুকটাক কাজ করছেন। তাদের মতে, ভারী কাজ করার ক্ষেত্রে প্রশিক্ষিত ও পেশাদার লোকবলের সংকট।

বিশ্ব ইজতেমার মূল মঞ্চে গিয়ে দেখা যায়, নির্মান কাজের কোন লোক নেই, তদারকি করারও কেউ নেই। মঞ্চের অনেক কাজ বাকী।

প্যান্ডেল নির্মান কাজেরত রাজশাহীর আরিফুল ইসলাম কালের কন্ঠকে বলেন, আমি প্রতি বছর মেহনতি কাজ করতে আসি। ইজতেমার সাত দিন আগে মোটামুটি কাজ প্রায় ৮০ ভাগ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু এবার কাজের তেমন অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।

সরেজমিন জানা যায়, এবার ইজতেমা শুরু থেকে দুটি ময়দান হওয়ার কথা থাকায় টঙ্গী মাঠে লোক কম হবে মনে করে টঙ্গী ময়দানের কাজ তেমন জোরেশোরে করা হয়নি। প্রায় দুই লক্ষ মুসল্লীর জন্য উত্তরার দিয়া বাড়িতে প্রস্তুত করা মাঠের নির্মান কাজ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ হওয়ায় হিসেবে একটু গরমিল হয়েছে। কারণ যে দুই লাখ মুসল্লীর দিয়া বাড়িতে অবস্থান করার কথা ছিল, তারা এখন টঙ্গী ময়দানে থাকবেন। ফলে টঙ্গী ময়দানের প্রস্তুতি নতুন করে ঢেলে সাজাতে হচ্ছে। এতে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা মাঠের সার্বিক প্রস্তুতি যথাসময়ে সম্পন্ন করতে একটু বেশী কষ্ট করতে হচ্ছে। মূলত এই কারণেই সাত দিন আগে যেটুকু প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার কথা তা এখনো হয়নি।

তবে বিশ্ব ইজতেমার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যে সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা সঠিকভাবেই এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে বিশ্ব ইজতেমার খিত্তা চূড়াম্ত করে তা প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্ব ইজতেমার ট্রাফিক সিস্টেম নিয়মিত মনিটরিং করা সহ সকল প্রশাসনিক কাজ চলছে যথারীতি।

টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ( ওসি) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিশ্ব ইজতেমার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক ভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মনিটরিং করা হচ্ছে। সর্বোচ্চটা দিয়ে আমরা ইজতেমায় দায়িত্ব পালন করছি।

বিশ্ব ইজতেমার বিদেশী মেহমানদের জিম্মাদার আমির হোসেন বলেন, বিদেশী মেহমানদের থাকা খাওয়া সহ সব ধরণের ব্যবস্থা প্রায় শেষ। তবে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা মুসল্লীদের রাখার প্রস্তুতি এখনো করা হয়নি।

প্রসঙ্গত: ৫৭ তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারী ও ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজকদের আশা, এবার এক সাথে ৬০ লক্ষ মানুষ আখরী মেনাজাতে শরীক হবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *