টঙ্গী: বিশ্ব ইজতেমায় এবার টঙ্গীর তুরাগ তীরের পাশাপাশি নদীর পশ্চিম পাড় ও উত্তরার দিয়া বাড়িতে মূলপ্যান্ডেল হচ্ছে। টঙ্গীর মূল মঞ্চের পাশাপাশি দিয়াবাড়িত আরেকটি মঞ্চ তৈরী করা হচ্ছে। তবে টঙ্গীতে অবস্থিত মূল মঞ্চ থেকে দিয়া বাড়ি মঞ্চে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বয়ান প্রচারিত হবে। কিন্তু ইজতেমা ময়দানের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ হবে পৃথক ভাবে। অতিরিক্ত মুসল্লীর ভীড় সামলাতে ও দুর্ভোগ কমাতে এই আয়োজন বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
রবিবার( ২১ জানুয়ারী) বিশ্ব ইজতেমা ময়দান ঘুরে দায়িত্বশীলদের সাথে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।
টঙ্গী ইজতেমা ময়দানের বয়ান মঞ্চের জিম্মাদার হাজী মোহাম্মদ রেজাউল করিম রেজা বলেন, এবার টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের মূলবয়ান মঞ্চের পাশাপাশি উত্তরার দিয়া বাড়িতে আরেকটি মঞ্চ প্রস্তুত করা হচ্ছে। টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের মুল মঞ্চের বয়ান আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে দিয়া বাড়ি মঞ্চে সরবরাহ করা হবে। সেখান থেকে দিয়া বাড়ি মাঠে মুসল্লীরা বয়ান ও আখেরী মোনাজাতে শরীক হবেন। তবে প্রতি বছরের মত এবার টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হবে এবং দিয়া বাড়িতে আলাদাভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হবে।
টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার প্রধান সমন্বয়কারী প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নান বলেন, আগামীকাল বিকেলে টঙ্গীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসবেন। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসব্রিফিং করে বিশ্ব ইজতেমার বিষয়ে বিস্তারিত বলবেন।
তিনি বলেন, এবার বিশ্ব ইজতেমায় ১০৫ টি খিত্তা থাকবে। টঙ্গীর মূলমঞ্চে ৭২টি, টঙ্গীর তুরাগ তীরের পশ্চিম পাড়ে ১০ টি ও উত্তরার ১৮ নম্বর সেক্টরে দিয়া বাড়ি মাঠে ২৩টি খিত্তা থাকবে। দিয়া বাড়িতে এবার নতুন ভাবে মাঠ প্রস্তুত করায় বেশ কিছু কাজ করা হচ্ছে। দিয়া বাড়িতে ৬০ একর জায়গার মাঠ হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় মাঠ। দিয়া বাড়ি ময়দানে আটটি গভীর নলকূপ, ১৪টি বড় চৌবাচ্চা ও দুই হাজার ৫০০ টয়লেট নির্মান করা হচ্ছে।
দিয়া বাড়ি ইজতেমা ময়দানের জিম্মাদা মাওলানা ফরিদ আহমদ বলেন, বিশ্ব ইজতেমার প্রধান সমন্বয়কারী প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নান সাহেব। আমি দিয়া বাড়ি ময়দানের জিম্মাদার। দিয়া বাড়ি ময়দানের প্রস্তুতি কাজ সম্পর্কে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ময়দান প্রস্তুত করার কাজ চলছে। টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় সর্বসম্মতিক্রমে দুটি ময়দান করা হয়েছে। তবে টঙ্গীর ময়দানের মূলমঞ্চ থেকে বয়ান সরবরাহ করে দিয়া বাড়িতে শোনানো হবে। আখেরী মোনাজাতও বয়ানের মত সরবরাহ করা হবে। তবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ দুই ময়দানে পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
আয়োজকরা বলছেন, টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে ১০ লাখ, তুরাগ নদীর পশ্চিম পাড়ে এক লাখ ও দিয়া বাড়িতে দুই লাখ মুসল্লী অংশগ্রহণ করবেন। আখেরী মোনাজাতে প্রায় ৪০ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত: ২০১১ সালে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। সেই থেকে প্রতি বছর দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। আর এবারই প্রথম দুটি ময়দানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। প্রথম পর্ব ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারী ও ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারী দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।