প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার অনুযায়ী প্রত্যেক জেলায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। এছাড়া জেলার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সরকারি কলেজগুলো পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
সরকারি কলেজের মানোন্নয়ন এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর চাপ কমাতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় যেগুলো হচ্ছে, সেগুলো শুরুতেই কেন আন্ডার গ্র্যাজুয়েট কোর্স চালু করছে? সেই জেলায় ইতোমধ্যে যেসব সরকারি কলেজ আছে তাদের আন্ডার গ্র্যাজুয়েট কোর্সগুলো মনিটরিং করুক। আন্ডার গ্র্যাজুয়েট কোর্সগুলো মনিটরিং করবে এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা করে করবে। শুরুটা নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তো একটা চ্যালেঞ্জিং টাইম। একটি ফুল সেটআপ নিয়ে সেখান থেকে রিসার্স ডেভেলপমেন্ট করুক।
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন সমস্ত কলেজ বা শতবর্ষী কলেজগুলোকে রেসপেক্টিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ করে অ্যাকাডেমিক মনিটরিং নিশ্চিত করতে। এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে তিনি সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের পরামর্শ দেন।
মন্ত্রী বলেন, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সারাদেশের নল-ফরমাল এডুকেশনের অ্যাকাডেমিক মনিটরিংয়ের কাজটা করছে। তাহলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন চট্টগ্রাম কলেজের অ্যাকাডেমিক মনিটরিংয়ের কাজ করতে পারবে না? এক সময় তো করতো। পূর্বে যদি করার ক্যাপাসিটি থেকে থাকে তাহলে এখন তো সিস্টেম আরও বাড়ার কথা।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই উদ্যোগ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাত কলেজকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। সেখানেও হয়ত চ্যালেঞ্জ আছে। সেই চ্যালেঞ্জটা তো আমরা অতিক্রম করছি। শিক্ষার্থীরা রাস্তা বন্ধ করেছে। কিন্তু আমরা নড়িনি।
সাত কলেজের মান ইম্প্রুভ (উন্নয়ন) হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যদি অ্যাকাডেমিক স্ট্যান্ডার্ড মনিটরিংয়ে কাজ করতে পারে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কেন করতে পারবে না। এসব ক্ষেত্রে আইন সংশোধন করতে হলে মন্ত্রণালয় তা করবে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।