গফরগাঁও প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় হারুন অর রশিদ (৫৫) নামে এক হোমিও চিকিৎসককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার পাগলা থানার পাইথল ইউনিয়নের গয়েশপুর বাজারে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় রুবেল মিয়া (৩৮) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। রুবেলকে এরই মধ্যে আটকও করা হয়েছে।
ঘটনার পর উত্তেজিত গ্রামবাসী রুবেলকে গণপিটুনি দিয়ে তাঁর বাড়িতে আগুন দেয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পাগলা থানা-পুলিশ ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। নিহত হারুন অর রশিদ গয়েশপুর বাজারেই বসবাস করেন। সেখানেই তিনি ফিরোজা হোমিও হল নামে একটি প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে হোমিও চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। রুবেল একই ইউনিয়নের নেওকা গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, হারুন অর রশিদ নিজের দোকানের পাশে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় রুবেল রামদা নিয়ে সামনে হারুন অর রশিদকে ধাওয়া করে বাজারের পাশেই এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় ভয়ে কেউ বাঁচাতে এগিয়ে যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দা এজাজুল ইসলাম বলেন, ‘শুনেছি ছেলেটি মাদকাসক্ত। তাঁরা উভয়েই প্রতিবেশী এবং তাদের মধ্যে কোনো বিরোধ ছিল না।’
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন ঢালী বলেন, ‘প্রকাশ্যে খুনের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রুবেলের বাড়িতে আগুন দিয়েছে। স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিভিয়েছে। উত্তেজিত জনতার গণপিটুনিতে আহত হয়েছেন রুবেল ও তাঁর মা বিউটি আক্তার। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।’
পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খায়রুল বাশার বলেন, ‘রুবেল ও তাঁর মা বিউটি আক্তারকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা রুবেলের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’