মাসুদ রানা সরকার :কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতির মধ্যে আজ সিরাজগঞ্জে সূর্যের দেখা মেলেনি। সেই সঙ্গে পৌষের প্রচণ্ড শীতে নাকাল হয়ে পড়েছেন যমুনাপাড়ের এ শহরের কর্মজীবী মানুষ। নিম্ন আয়ের মানুষের কর্মজীবন যেন স্থবির হয়ে পড়েছে। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকাল থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকতে দেখা গেছে সিরাজগঞ্জ শহরসহ জেলার সব প্রত্যন্ত অঞ্চল। দুপুর গড়িয়ে গেলেও দেখা মেলেনি সূর্যের। কুয়াশার সঙ্গে বইছে মৃদু বাতাস। কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায় সড়ক-মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন।প্রকৃতির এই বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে শরীরে একাধিক গরম কাপড় জড়িয়ে জীবিকার সন্ধানে নেমেছেন কর্মজীবী মানুষ। প্রচণ্ড শীতে নির্মাণ শ্রমিক, মাটিকাটা শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশাচালকসহ দৈনিক আয়ে সংসার চালানো মানুষগুলোর স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়ে পড়েছে। শহরে লোকসংখ্যা কম হওয়ায় রিকশা, অটোরিকশাচালকেরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকেও ভাড়া পাচ্ছেন না।নির্মাণশ্রমিক নজরুল ইসলাম, আব্দুল মোমিন, জামাল উদ্দিনসহ অনেকেই বলেন, জীবিকার তাগিদে কাজে এসেছি। কিন্তু পানি নাড়ার পর শীতে হাত-পা বাঁকা হয়ে গেছে। তারপরও কষ্ট করে কাজ করতে হচ্ছে। ফজলু, মজিদ, আকাশ ও শফিকুল নামে কয়েকজন রিকশাচালক বলেন, শুক্রবার শহরে ভাড়া বেশি থাকে। কিন্তু আজকে ভাড়া নেই বললেই চলে। আধঘণ্টা পরপর ১০-২০ টাকার ভাড়া পাচ্ছি। ভাড়া নামিয়ে আবার হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকছি।তাড়াশ কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, এ অঞ্চলে এখনো শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়নি। তবে ঘন কুয়াশা আছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।