টঙ্গী( গাজীপুর) প্রতিনিধী গাজীপুরের টঙ্গীতে তথ্য সংগ্রহকালে সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় ছয় সাংবাদিক আহত হয়। এদের মধ্যে কাল বেলার সাংবাদিক মহিন উদ্দিন রিপনের অবস্থা গুরুতর।
মঙ্গলবার (০৯ জানুয়ারী) বিকেলে টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন গুটিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, দৈনিক কালবেলার টঙ্গী প্রতিনিধি মহিন নউদ্দিন রিপন, দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার মহানগর প্রতিনিধী আল-আমিন হোসেন, দৈনিক আমাদের সংবাদ পত্রিকার টঙ্গী প্রতিনিধি মস্তু মিয়া, দৈনিক খোলা কাগজের টঙ্গী প্রতিনিধি সুজন সারওয়ার, দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন পত্রিকার টঙ্গী প্রতিনিধী বিএ রায়হান ও বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার টঙ্গী প্রতিনিধি পলাশ সরকার এদের মধ্যে মহিউদ্দিন রিপন গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে প্রথমে গুটিয়া ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত রিপনকে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে
পাঠান। পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা জানান, আজ বিকেলে টঙ্গীর গুটিয়া এলাকায় সরকারি খাল দখলের তথ্য সংগ্রহে যায় বেশ কয়েকজন সাংবাদিক। তথ্য সংগ্রহ ও ছবি তোলার সময় সজল আমজাদ , রাজিবের নেতৃত্বে, শামীম, অনিক, বাবুলসহ অজ্ঞাত প্রায় ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা করে। এ সময়, কালবেলার সাংবাদিক মহিউদ্দিন রিপনকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি জখম করে। এসময় অন্য সাংবাদিকরা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাদেরও কিল ঘুষি দিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে সন্ত্রাসীরা।
সাংবাদিক বি এ রায়হান জানান, তারা ছয় সাংবাদিক সরকারী খাল দখলের তথ্য আনতে যায়। খাল দখলের ছবি তোলার সাথে সাথে সন্ত্রাসীরা তাদের আক্রমন করে মারধর করে মোবাইল ও একটি হোন্ডা ছিনিয়ে নেয়।
গুরুতর আহত সাংবাদিক মহিন উদ্দিন রিপন বলেন, হামলাকারীরা তাকে রক্তাক্ত জখম করে হত্যার চেষ্টা করে। সন্ত্রাসীরা তার তিনটি মোবাইল সহ সাংবাদিকদের ছয়টি মোবাইল ও তার হোন্ডা ছিনিয়ে নেয়।
এদিকে রাতে গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম উত্তরায় ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাংবাদিক মহিন উদ্দিন রিপনকে দেখতে যান।
টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, ঘটনা শুনেছি। অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।