টঙ্গী(গাজীপুর)প্রতিনিধি: সংসদ নির্বাচনে ট্রাক প্রতীকের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনের(গাসিক) প্যানেল মেয়র ও ৩৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিল মাসুদুল হাসান বিল্লালের বাড়িতে নৌকা প্রতীকের বিজয় মিছিল থেকে ভাংচুর, মারধর ও আগুন দেবার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে তিন জন। প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ হয়েছে।
সোমবার(০৮ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় পূবাইলের শুকন্দিরবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রতিবাদে জনতা টঙ্গীর বনমালা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।
আহতরা হলেন মাসুদুল হাসান বিল্লালের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী পলি আক্তার,ছেলে মাহবুব হাসান রিবেল(২৫) ও কাউন্সিলরের কার্যালয়ে সেবা নিতে আসা আল আমিন নামের এক ব্যক্তি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার(৭ জানুয়ারী) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর ২ আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বিজয়ী হন। বিজয়ের উল্লাস জানাতে সোমবার সন্ধ্যায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৩৯নং ওয়ার্ড শুকন্দিরবাগ এলাকায় এক আনন্দ মিছিলের আয়োজন করেন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা। মিছিলে যোগ দেন কয়েকশো নেতা কর্মী। সন্ধ্যায় বিজয় মিছিলটি প্যানেল মেয়র মাসুদুল হাসান বিল্লালের বাড়ির সামনে পৌঁছালে কয়েকজন তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এ সময় বাড়ির ভেতরে ঢুকে তার ছেলে রিবেল,পলি আক্তারকে মারধর করে।পরে কাউন্সিলরের কার্যালয়ে হামলা চালালে ওই কার্যালয়ে প্রত্যয়নপত্র নিতে আসা আল আমিন নামের এক ব্যক্তিকে মারধর করেন। এই সময় বাড়িতে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে।
গাসিক প্যানেল মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিল মাসদুল হাসান বিল্লাল বলেন,গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৯ নং ওয়ার্ডটি গাজীপুর ২ আসনের সঙ্গে এবারে নির্বাচনের আগে যুক্ত করা হয়েছে। এটি গাজীপুর ৫ আসনের সঙ্গে যুক্ত ছিলো। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি ও আমার নেতাকর্মীদের নিয়ে গাজীপুর ২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী(ট্রাক প্রতিক) কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিনের পক্ষে নির্বাচনী কাজে যুক্ত ছিলাম।কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী জাহিদ আহসান রাসেলের সাথে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন।আজ ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সদস্য সচিব শাহিনুর আলম মৃধা ও যুব ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের ব্যক্তিগত সহকারী কাউসার সরকারের নেতৃত্বে একটি বিজয় মিছিল করে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। মিছিলটি আমার বাড়ির সামনে এলেই মিছিলে থাকা লোকজন আমার বাড়িতে ভাংচুর ও গেটে আগুন লাগিয়ে দেয়।এ সময় আমার বাড়ির ভেতর ঢুকে আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী,ছেলে ও আমার কার্যালয়ে সেবা নিতে আসা এক ব্যক্তিকে মারধর করে।আমি এ ঘটনাটি পুলিশকে জানিয়েছি।
অভিযুক্ত ৩৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সদস্য সচিব শাহিনুল আলম মৃধা বলেন, আমরা আনন্দ মিছিল করেছি।তবে আমাদের কোন নেতা কর্মী মিছিল থেকে বেরিয়ে গিয়ে আগুন ও মারধরের ঘটনা ঘটায় নি। কাউন্সিলর মিথ্যে বলছেন।
কাওসার সরকার বলেন,আমরা একটি বিজয় মিছিল করেছি। মিছিল থেকে বেরিয়ে কোন নেতাকর্মী তাদের বাড়িতে ভাংচুর ও আগুন দেয় নি।
পূবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো.কামরুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।ি লখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।