কে হতে যাচ্ছেন বগুড়া-৭ আসনের সাংসদ?

Slider রাজশাহী


মাসুদ রানা সরকার, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : বেশ উৎসবমুখর পরিবেশে আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইতিমধ্যে সকলপ্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচনকে ঘিরে বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। সরগরম হয়ে উঠেছে দুই উপজেলার প্রতিটি হাট বাজারে চায়ের দোকানগুলোতে। এখন শুধু দেখার অপেক্ষা কে হতে যাচ্ছেন এই আসনের এমপি?। এদিকে দলীয় এমপি নিতে ভোটের মাঠে সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা বেশ উৎসাহিত হয়ে সাংগঠনিকভাবে জোর তৎপরতা চালিয়েছেন। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছেন। ভোটারাও আশ্বস্ত করছেন বলে জানিয়েছেন নৌকার প্রার্থী ও সমর্থকরা। তবে বিএনপি-জামায়াত জোট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও স্বতঃস্ফূত অংশগ্রহনের মাধ্যমে নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ ১৩জন স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী। প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত ডাঃ মোস্তাফা আলম নান্নু (নৌকা), জাতীয় পার্টির বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম আমিনুল ইসলাম সরকার পিন্টু (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি মোঃ রেজাউল করিম বাবলু (ট্রাক), মোঃ সরকার বাদল (ঈগল), মোঃ নজরুল ইসলাম মিলন (কাঁচি), মোঃ নজরুল ইসলাম মিন্টু (কেটলি), ও মোঃ আমজাদ হোসেন (চার্জার লাইট), জাতীয় পার্টি-জেপি মোঃ আব্দুল মজিদ (বাইসাইকেল), ন্যাশনাল পিপল্স পাটির মোঃ ফজলুল হক (আম), বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির মেহেরুল আলম মিশু (ডাব), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মোঃ রনি (নোঙ্গর), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মোঃ এনামুল হক (ছড়ি), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের মোঃ আব্দুর রাজ্জাক (মশাল)। ১৩জন প্রার্থী হলেও নৌকা, লাঙ্গল, ঈগল ও ট্রাক ছাড়া ভোটের মাঠে অন্যান্য প্রার্থীরা তেমন একটা সাড়া ফেলতে পারেনি। নির্বাচন অফিসসূত্র জানান, বগুড়া-৭সংসদীয় আসন গাবতলী উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা এবং শাজাহানপুর উপজেলা ৯টি ইউনিয়ন এবং বগুড়া পৌরসভার দু’টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। এই নির্বাচনী এলাকায় মোট ভোটার রয়েছে ৫লাখ ১২হাজার ২শ’ ৫৮জন ভোটার। গাবতলী উপজেলা ও একটি পৌরসভায় ২লাখ ৭৭হাজার ২শ’ ৩৭জন। এতে পুরুষ ভোটার ১লাখ ৩৮হাজার ২শ’ ১১জন এবং নারী ভোটার রয়েছে ১লাখ ৩৯ হাজার ২৬জন। শাজাহানপুর উপজেলায় পুরুষ ও নারী ভোটার রয়েছে ২লাখ ৫৭হাজার ২শ’ ৭৭জন। এর মধ্যে ২জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারও রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে জানা গেছে, প্রচার-প্রচারণার শীর্ষে রয়েছে নৌকার প্রার্থী ডাঃ মোস্তাফা আলম নান্নু। একাধিকসূত্র বলছেন, ডাঃ নান্নু একজন জনপ্রিয় মানুষ। দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে চিকিৎসা পেশার মাধ্যমে তিনি গাবতলী-শাজাহানপুরবাসীর মাঝে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন। কখনও বিন্যামুল্যে আবার কখনো স্বল্পমুল্যে এই দুই উপজেলার গবীর ও অসহায় মানুষের চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন। সবসময় সুখে-দুখে সবশ্রেনী পেশার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছন। নিয়মিতভাবে বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছেন তিনি। তারমধ্যে কোন অহংকার নেই। তিনি সব মানুষের সঙ্গে সবসময় ভালো ব্যবহার করেন। তার আচার-আচারণে মুগ্ধ দুই উপজেলার মানুষ। তাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিকে কোন দ্বিধা নেই সাধারণ মানুষের মাঝে। আর এমন একজন ভালো মানুষকেই এই সংসদ নির্বাচনে এমপি হিসেবে দেখতে চায় বগুড়া-৭ আসনের সাধারণ জনগণ। এখন শুধু তার বিজয়ের আসন্নমূর্হুত। এছাড়াও ডাঃ নান্নু’র দীর্ঘ আওয়ামী রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ছিলেন। ২০১২ সাল থেকে অদ্যাবধি বগুড়া জেলা আ’লীগের উপদেষ্ঠা মন্ডলীর সদস্য, ২০১৫ সাল হতে অদ্যাবধি বিএমএ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি। ২০০৯ সাল হতে অদ্যাবধি বিএমএ বগুড়া’র সভাপতি। ২০০৬ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, ২০০৫ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি। ২০১৬ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। ডাঃ নান্নু বলেন, গাবতলী ও শাজাহানপুরের মানুষ উন্নয়নে বিশ্বাসী। তাই এই আসনে অনেক আগে থেকেই নৌকা মার্কার বিজয়ের সম্ভবনা সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের মধ্যে পরিবর্তন এসেছে। এজন্য এই আসনে বিপুল ভোটে নৌকার বিজয় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আমি এমপি নির্বাচিত হলে গাবতলী-শাজাহানপুরবাসীর উন্নত স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করবো। দুই উপজেলার এখনো যেগুলো অঞ্চল অনুন্নত এই অঞ্চলগুলো চিহিৃত করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উন্নত করবো। সমাজ থেকে সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূলে কাজ করবো। সর্বোপরি গাবতলী ও শাজাহানপুর উপজেলাকে ডিজিটাল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *