আজ শুক্রবার সকাল ৮টার পর আর কোনো প্রার্থী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কোনো নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন না। গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই প্রচার-প্রচারণার অনুমোদিত সময় ছিল শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার ২৯৯ আসনে এক হাজার ৯৭০ জন প্রার্থী নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত রয়েছেন। ২৮টি রাজনৈতিক দলের হয়ে লড়াই করছেন এক হাজার ৫৩৪ জন প্রার্থী। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন ৪৩৬ জন। এ ছাড়া নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল ইসলাম মারা যাওয়ায় ওই আসনের নির্বাচন স্থগিত করেছে ইসি। ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারা দেশে একযোগে ভোট গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে ভোটের দিন উপলক্ষে ওই দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বিএনপিসহ নিবন্ধিত ১৬টি রাজনৈতিক দল ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে ভোট ঠেকানোর আন্দোলনে মাঠে রয়েছে।
ইসি থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, এবার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রার্থী রয়েছে জাতীয় পার্টি ২৬৫ জন। এ ছাড়া তৃণমূল বিএনপি ১৩৫ জন প্রার্থী দিয়েছে। সব থেকে কম প্রার্থী দিয়েছে বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল ও মুসলিম লীগ। উভয় দল চারজন করে প্রার্থী দিয়েছে। আর প্রার্থিতা ফিরে পাওয়াদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ৫৫ জন, গণতন্ত্রী পার্টি ১০ জন, আওয়ামী লীগের তিনজন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) দুইজন, তৃণমূল বিএনপির দুইজন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের দুইজন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের একজন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের একজন প্রার্থী রয়েছেন। মোট প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী রয়েছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের। হাইকোর্ট থেকে তিনজন প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর দলটির মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়াল ২৬৬ জন। এরপরই রয়েছে জাতীয় পার্টির ২৬৫ জন, তৃণমূল বিএনপির রয়েছে ১৩৫ জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির রয়েছেন ১২২ জন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ৯৬ জন, বাংলাদেশ জাতীয়বাদী আন্দোলনের ৫৬ জনসহ ২৮টি রাজনৈতিক দলের মোট প্রার্থী সংখ্যা এক হাজার ৫৩৪ জন। এর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন ৪৩৬ জন। মোট প্রার্থীর মধ্যে ৭৬ জন প্রার্থী হাইকোর্ট থেকে আপিলের মাধ্যমে তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।