মাসুদ রানা সরকার, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি ঃ বগুড়া-১ আসনে এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে মারধরের মামলায় সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান লিটনসহ ৬ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। ঢাকায় যাওয়ার পথে সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতুর আগে সোমবার রাত ১১ টার দিকে র্যাব-১২ একটি গোয়েন্দা দল তাঁদের গ্রেপ্তার করে।গ্রেপ্তার বাকি পাঁচজন সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। মঙ্গলবার ভোরে গ্রেপ্তার মিনহাদুজ্জামান লিটনসহ ৬ জনকে বগুড়া ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।মিনহাদুজ্জামন লিটন সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি বগুড়া-১ (সোনাতলা-সারিয়াকান্দি) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী সাহদারা মান্নানের ভাই।এরআগে রোববার দিবাগত রাতে ওই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল মার্কার কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমানের সমর্থক রেজওয়ানুল রিজভীকে মারধরের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তিনি ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনার পরেই সোনাতলার জোড়গাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে রিজভীর স্ত্রী নাহিদ নাসরিন সাথী বাদী হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান লিটন ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মতিনসহ ৭ জনকে আসামি করে হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করেন।মামলার এজাহারে বলা হয়, উপজেলা চেয়ারম্যান লিটনের নেতৃত্ব জোড়গাছার ভেলুরপাড়া চারমাথা এলাকায় আব্দুল মতিসহ ৭ থেকে ৮ জন ব্যক্তি ঈগল মার্কার সমর্থক রিজভীর উপরে হামলা চালায়। তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্য লাঠিসোটা দিয়ে মারধর ও মাথায় গুরুতর আঘাত করা হয়।র্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানী কমান্ডার (পুলিশ সুপার) মীর মনির হোসেন বলেন, সিরাজগঞ্জে র্যাব-১২ হেডকোয়ার্টার্সের একটি গোয়েন্দা দল বঙ্গবন্ধু সেতুর আগে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বগুড়া থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।বগুড়া ডিবি পুলিশের ওসি মুস্তাফিজ হাসান বলেন, সোনাতলায় এক প্রার্থীর সমর্থককে মারধরের মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৬ জনকে র্যাব সিরাজগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ ভোরে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়। আইনী প্রক্রিয়া মেনে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।তবে মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এর বিচারক জিনিয়া জাহান গ্রেপ্তারকৃতদের জামিন প্রদান করে। আদেশে মামলার পুলিশি প্রতিবেদন জমা দেওয়া পর্যন্ত আসামিদের জামিন মঞ্জুর করা হয়।