নারীর ভোটে হাত দিতে পারনি, পুরুষের বাক্সের কাছেও যেতে পারবানা — জাহাঙ্গীর আলম

Slider গ্রাম বাংলা

Exif_JPEG_420

টঙ্গী( গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র ও ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলিম উদ্দিন বুদ্দিনের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, ১৫ বছর ধরে গাজীপুর ও টঙ্গীর মানুষ জিম্মি। সন্ত্রাস মাদক ও চাঁদাবাজদের হাত থেকে মুক্তির দিন ৮ জানুয়ারী। গত সিটি নির্বাচনে আপনারা আমার মাকে ভোট দিয়ে মেয়র বানিয়েছেন। প্রতিপক্ষের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, একজন নারীর ভোটে হাত দিতে পারনি, তাই এখন পুরুষের বাক্সের কাছেও যেতে পারবে না। কারণ এবার ভোটের দিন সেনাবাহিনী কেন্দ্রে বাক্সে নিয়ে আসবে। তাই ভোট লুট করার চিন্তা করে লাভ নেই। তিনি গাজীপুরকে স্মার্ট গাজীপুর করতে সকলকে ট্রাক প্রতীকে ভোট দেয়ার আহবান জানান।

আজ সোমবার(১ জানুয়ারী) বিকেলে টঙ্গীর ৫১ নম্বর ওয়ার্ড সাতাইশ স্কুল এন্ড কলেজের সামনে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহিদ আহসান রাসেলকে উদ্দেশ্য করে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মন্ত্রী বাহাদুর, আপনি ১৫ বছরে একটি খেলার মাঠ তৈরী করতেন পারেননি, এখন আর কিভাবে করবেন। একদিনে গাজীপুর সিটির মেয়র ও গাজীপুর মহানগরের সাধারণ সম্পাদক পদ খেয়ে ফেলতে পারেন, কিন্তু গাজীপুর কে সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত করতে পারেননি।

সৈলারগাতি ঈদগাহ মাঠের সামনে আরেক পথসভায় জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রতিমন্ত্রীর বাড়ির সামনে মাদক বিক্রি হয়। তিনি তার মাকে হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ করে তিনি বলেন, তুমি ( প্রতিমন্ত্রী) আমার মাকে হত্যার চেষ্টা করেছ। তোমার মা যদি আমার এলাকায় যায় তবে আমার পড়নের চাদর দিয়ে ঢেকে দিব। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি তোমার অফিসে গিয়েছিলাম। অনেক কেঁদেছিলাম, তুমি শুননি। আগামী ৭ তারিখ আল্লাহ তোমার বিচার করবে।

জাহাঙ্গীর আলম প্রয়াত গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানকে ২৭ বার জেল খাটানোর জন্য প্রতিমন্ত্রী রাসেলকে দায়ী করেন।

পথসভায় ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন বলেন, মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি, আমাকে ভোট দিলে জাহাঙ্গীর আলমকে সাথে নিয়ে গাজীপুর ও টঙ্গী কে জিম্মি দশা থেকে উদ্ধার করব।

আজকে সকাল থেকে টঙ্গীতে মোট ১৫টি পথসভা রযেছে ট্রাক প্রতীকের।

এদিকে গাড়ি বহরের প্রথমে খোলা জীপে জাহাঙ্গীর আলম ও দ্বিতীয় গাড়িতে খোলা জীপে আলিম উদ্দিন বুদ্দিন হাত নেড়ে রাস্তার দুই পাশে ভোটারদের শুভেচ্ছা জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *