শ্রীপুরে চুলায় রান্না করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে পোশাক কারখানার নারী শ্রমিকের মৃত্যু

Slider গ্রাম বাংলা


রমজান আলী শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুরে চুলায় রান্না করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাঁচদিন পর এক পোশাক কারখানার নারী শ্রমিকের মৃত্যু। অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পরপরই স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।

নিহত গৃহবধূ বৃষ্টি আক্তার (২৬) উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের নান্দিয়া সাঙ্গুন গ্রামের মো. রুবেল মিয়ার স্ত্রী। তিনি স্থানীয় কালার ফ্যাশন নামে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকের কাজ করতেন।

নিহতের শ্বাশুড়ি আমেনা খাতুন বলেন, গত রবিবার সন্ধ্যার পর গৃহবধূ বৃষ্টি রান্নাঘরে লাকড়ির চুলায় রান্না করতে যায়। অসাবধানতায় কোন এক সময় চুলার আগুন গায়ে থাকা ওড়নায় লেহে যায়। হঠাৎ করে তার ডাক চিৎকারে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি সে বাড়ির উঠানে দৌড়াদৌড়ি করছে। তার শরীরের পড়নের কাপড়ে আগুন জ্বলছে। এরপর আমি ও আমার আরেক পুত্রবধূ শাহনাজ পানি ছিটিয়ে তার শরীরের আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। পরবর্তীতে আমাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে শরীরের কাপড় সরিয়ে নেয়। এরপর তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি।

নিহতের শ্বশুর আজিজুল হক বলেন, পাঁচদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, শরীরের ৬৩ ভাগ পুড়ে যাওয়ার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

নিহতের ভাই রিপন মিয়া বলেন, অগ্নিদগ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে দ্রুত আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যায়। হাসপাতালে বোনের সাথে কথা হয়েছে। সে জানিয়েছে রান্না করতে গিয়ে তার শরীরে আগুন লেগেছে। পাঁচদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তার মৃত্যু হয়েছে। এরপর আমি শ্রীপুর থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করি।

শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক এসআই সাখাওয়াত হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্তারিত তদন্ত করে যা জানতে পারলাম চুলার আগুনে পুড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। এবিষয়ে উর্ধতন কতৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *