আইনের শাসন ও জবাবদিহি না থাকায় ব্লগার হত্যাসহ সারা দেশে শিশু ও নারী নির্যাতনের ঘটনা ‘অস্বাভাবিকভাবে’ বাড়ছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। আজ শনিবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন এই দাবি করেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিপন বলেন, কোনো হত্যাকাণ্ডকে তাঁরা সমর্থন করেন না। দেশে আইনের শাসন ও জবাবদিহি না থাকায় এই ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটছে। তাঁরা মনে করেন, সবার পরস্পরের সংবেদনশীল বিষয়গুলো সম্পর্কে সম্মানবোধ থাক উচিত। যে যে ধর্মেরই লোক হন না কেন অন্যের ধর্ম নিয়ে কটূক্তি ও কটাক্ষ করা উচিত নয়।
বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে জঙ্গিদের ধরেছে ও বিচার করেছে দাবি করে রিপন বলেন, এখন জঙ্গিদের ধরা হয়, কিন্তু বিচার হয় না। জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদ দমন হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে শিশু ও নারী নির্যাতন বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে রিপন বলেন, দেশে অস্বাভাবিকভাবে শিশু ও নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। ২০১২ থেকে এ সময় পর্যন্ত প্রায় এক হাজারের মতো শিশু নির্যাতনের কারণে মারা গেছে। দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলছে।
রিপন বলেন, সরকার দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির জন্য কোনো পদক্ষেপ না নিতে পারলেও, বিরোধী দলের ওপর জুলুম, নিপীড়ন-নির্যাতন ও গ্রেপ্তারের কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসেনি। সরকারের আচরণে মনে হয় দেশের একমাত্র সমস্যা বিএনপি, বিএনপির চেয়ারপারসন ও জিয়া পরিবার।