টঙ্গী( গাজীপুর) প্রতিনিধি: ছোট পিকআপে উচ্চ স্বরের বাদ্যযন্ত্র। বিশেষ পোষাকে প্রতীকের গানে মন মাতানো নৃত্য। আকর্ষনীয় নাচে- গানের প্রচারণা। উঠান বৈঠকে রাত দিন খিচুড়ি খাওয়ার ধূম। বিমূখ ভোটারদের ভোটমূখো করতে কৌশলী প্রচার প্রচারণায় উৎসব -আমেজ তৈরীর চেষ্টা করছেন প্রার্থীরা।
গাজীপুর-২ আসনটি গাজীপুর সদরের ১৯টি ও টঙ্গীর ১৫টি ওয়ার্ড সহ মোট ৩৪ টি ওয়ার্ল্ড নিয়ে গঠিত। মোট ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে নৌকা ও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী সহ ৬ প্রার্থীর বাড়ি টঙ্গীতে। বাকি তিন প্রার্থীর বাড়ি সদরে হলেও সদরে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হেভিওয়েট। বাকী দুই জন মাঠে নেই। ফলে ৯ প্রার্থীর মধ্যে সরব ৭ প্রার্থীর ৬ জনই টঙ্গীর। ফলে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা টঙ্গীতে বেশী।
ভোটের মাঠে দেখা যায়, প্রচারমাঠে থাকা প্রার্থীরা প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নির্বাচনী অফিস করেছেন। এসকল অফিস রাত দিন খোলা থাকে। অফিসগুলোতে চা পান বিড়ি চলছে দেদরছে। চায়ের স্টলগুলেতে নির্বাচনী আমেজ তৈরী হচ্ছে। প্রচার প্রচারণার মাঠে উঠান বৈঠকগুলোতে চলে খিচুড়ি খাওয়ার ধুম। ইতোমধ্যে নৌকা ও ট্রাক প্রতীক খিচুড়ি খাওয়ার উৎসব চালু করেছে। বাকী সকল প্রার্থীরা প্রচারণায় রঙরসের আয়োজন করেছেন। নৃত্যের তালে তালে ডেকসেট বাজিয়ে উচ্চ স্বরে প্রচারণা যেমন নতুন মাত্রা যোগ করেছে তেমনি মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপনে অস্বস্তিও তৈরী হচ্ছে। এতে জনজীবনের অতিষ্ঠতা নাগরিক জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে।
টঙ্গী স্টেশন রোডের চা বিক্রেতা সোহেল জমাদার বলেন, নাচের জন্য কিছুই শুনিনা। কাস্টমার কি চায় সেটাই বুঝা যায় না।
বনমালার বাসিন্দা ইকবাল হোসেন বলেন, আচরণ বিধি মানছে না কেউ। ফলে উচ্চ স্বরে গান বাজনা নৃত্য আর মাইকের শব্দে জনজীবন অতিষ্ঠ।
আচরণ বিধি প্রতিপালনের বিষয়ে বরাবরই রিটার্নিং অফিসার আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলছেন, আচরণ বিধি লংঘন হলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।