ঢাকা: শিশু নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে’ বক্তব্য রাখছিলেন প্রধানমন্ত্রী এবং বঙ্গবন্ধু ও ফজিলাতুন্নেসার কন্যা শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, যারা শিশু নির্যাতন করবে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। এ ধরনের অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে আমি আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছি। এসব করলে কেউই রেহাই পাবে না।
ব্লগার হত্যাকাণ্ড ও জঙ্গি তৎপরতা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্তত বাংলাদেশে ধর্মের নামে রক্তপাত চলতে দেওয়া যাবে না। গোটা পৃথিবীতে জঙ্গিবাদী তৎপরতা চলছে। এখানেও মাঝেমধ্যে সেই ধাক্কাটা লাগে। সৌদি আরবের মসজিদে জুমার নামাজ পড়ার সময় বোমা হামলা করে মুসলমানদের হত্যা করা হয়েছে। এখানে (বাংলাদেশে) আবার ধর্মের নামে ব্লগার হত্যা করা হচ্ছে। যারা মুসলমান হয়ে মুসলমানদের হত্যা করে, কিংবা মানুষ হত্যা করে, ইসলাম ধর্মকে কলুষিত করে, তারা মুসলমান হতে পারে না। এরা কোন ধর্মে বিশ্বাস করে? এদের কোনো ধর্ম নেই।
মায়ের স্মৃতিচারণ করে অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, আমার বাবা রাজনৈতিক অঙ্গনে সর্বক্ষণ মায়ের সাহস ও অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকে কারাগারে বন্দি করা হলে আমার মা পরিবার সামলাতেন, খোঁজ-খবর নিতেন দলের নেতাকর্মীদের। সবাইকে আগলে রাখতেন, সবাইকে সাহস যোগাতেন। তার কাছ থেকে আমরাও জীবনে চলার অনুপ্রেরণা পেয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমার মায়ের কখনো কোনো চাহিদা ছিল না। তিনি সাদাসিধে জীবন করতেন। তার মধ্যে কোনো হা-হুতাশ ছিল না। পরিবার বা দলের যখন প্রয়োজন হতো, তখন তিনি গহনা বা ঘরের ফার্নিচারও বিক্রি করে দিতেন।
উদারতা-সবাইকে আগলে রাখা মায়ের কাছ থেকেই শিখেছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আব্বার বিরুদ্ধে যখন ১৪-১৫টা মামলা দিয়ে তাকে জেলে নিয়ে যাওয়া হতো, তখন আমার মা সবাইকে আগলে রাখতেন। তিনি নিজের ঘরের খাবারের জন্য রাখা বাজারের টাকা আওয়ামী লীগের অসুস্থ নেতাকর্মীদের পেছনে খরচ করতেন। আওয়ামী লীগের নেতাদের বাড়িতে বাজারের টাকা পৌঁছে দিতেন। তার চারিত্রিক দৃঢ়তা, আত্মমর্যাদা ও আত্মবিশ্বাস আমরা দেখেছি এবং শিখেছি।