টঙ্গীতে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ

Slider নারী ও শিশু


টঙ্গী(গাজীপুর)প্রতিনিধি: গাজীপুরের টঙ্গীতে সুইচ গিয়ার(ছোরা) ভয় দেখিয়ে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার(২৫ ডিসেম্বর) টঙ্গী পূর্ব থানায় এই মামলা হয়। গত শনিবার রাত দশটার দিকে টঙ্গীর বণমালা রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরদিন রোববার বিকেলে নির্যাতিতা ওই নারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ঘটনাটির তদন্তে নামে। ঘটনাটির অংশিক সত্যতা পেয়ে সোমবার দুপুরে একটি ধর্ষণ মামলা নেয় পুলিশ।
ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো.মুস্তাফিজুর রহমান।

ধর্ষণের ঘটনায় টঙ্গীর বণমালা টেকপাড়া এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে হাসান(৩০),একই এলাকার সোহাগ ওরফে লাড্ডু সোহাগসহ(২৫) অজ্ঞাত আরো তিনকে আসামি করা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত হাসান ও সোহাগ নির্যাতিতা নারীর স্বামীর পূর্ব পরিচিত। নির্যাতিতাকে চাকরি পাইয়ে দেবার কথা বলে হাসান ও সোহাগ গত শনিবার রাতে বণমালা এলাকার একটি হোটেলে তাঁর স্বামীকে ডাকেন। এরি মধ্যে কয়েক ঘন্টা পেরিয়ে গেলে নির্যাতিতা নারী তার স্বামীর মুঠোফোন ফোন করলে হাসান ফোন রিসিভ করে তাকেও ওই হোটেলে আসতে বলেন। পরে নির্যাতিতা নারী ওই হোটেলের সামনে গেলে তার স্বামীকে একটি সুইচ গিয়ার(ছোরা) মুখে জিম্মি করে সোহাগ ও অজ্ঞাত তিনজন অভিযুক্ত হোটেলের পাশের কৃষি জমিতে নিয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি পুলিশকে জানালে স্বামী-স্ত্রীকে হত্যা কর হবে বলে হুমকি দিয়ে তাদের ছেড়ে দেয় তাঁরা।

নির্যাতিতার স্বামী বলেন, আমার স্ত্রী একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তার জাতীয় পরিচয় পত্র নেই। তাই কারখান কর্তৃপক্ষ আমার স্ত্রীকে চাকরি থেকে অব্যহতি দেয়। বিষয়টি আমি হাসান ও সোহাগকে জানালে তাঁরা আমার স্ত্রীকে চাকরি পাইয়ে দেবার কথা বলে আমাকে একটি হোটেলে ডাকেন। কিছুক্ষণ পর আমার স্ত্রী আমাকে ফোন করলে হাসান তাকেও হোটেলে ডাকেন।স্ত্রী হোটেলের সামনে এলে আমাকে একটি সুইচ গিয়ারের মুখে জিম্মি করে আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। সোমবার আমাদের মামলা নিয়েছে পুলিশ।

টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো.মুস্তাফিজুর রহমান বলেন,ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *