টঙ্গী(গাজীপুর) প্রতিনিধি: প্রচারণার সপ্তম দিনে এমপি প্রার্থী স্বামীর সাথে প্রচারণায় নেমে গেছেন স্ত্রীও। খোলা জীপে স্বামী-স্ত্রী হাত নাড়িয়ে ভোটারদের সালাম দিচ্ছেন। সবাইকে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আহবান জানাচ্ছেন তারা। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহসড়কে এই দৃশ্য দুই পাশে দাড়িয়ে দেখছেন ভোটার ও দর্শকরা।
রবিবার(২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা-মংমনসিংহ মহাসড়কে এই দৃশ্য দেখা যায়।
প্রত্যদর্শীরা জানায়, গাজীপুর-২ (সদর-টঙ্গী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজীপুর মহানগর যুবলীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল ইসলাম। প্রচারণার প্রথম থেকেই তিনি সরব। আজ তার স্ত্রী মাহফুজা খানম দিপাও স্বামীর সাথে প্রচারণায় নেমেছেন। খোলা জীপে স্বামী-স্ত্রীর যৌথ প্রচারণার দৃশ্য রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে দেখছেন শত শত ভোটার ও দর্শক। তারা ভোটারদের উদ্দেশ্যে হাতি নাড়িয়ে সালাম দিচ্ছেন আর ভোটাররাও সালামের উত্তর দিচ্ছেন।
টঙ্গীর গাজীপুরা এলাকার ভোটার হাসেম তরফদার বলেন, ভোট হচ্ছে এখন কিছু কিছু বুঝা যায়। প্রচারণাও ভালই চলছে। সব ঠিক থাকলে ভোট দিতে যাব।
সাধারণ মানুষ বলছেন, বিএনপি সহ কয়েকটি দল নির্বাচনে না আসায় ভোটের আমেজ ছিল না। এখন আস্তে আস্তে ভোটের আমেজ আসছে মনে হয়।
টঙ্গীর চেরাগআলী এলাকার রিক্সাওয়ালা আবু হানিফ বলেন, বিকেলে হলেই মনে হয় ভোট আসছে। দেখা যাক, ভোট দেয়া যায় কি না।
জানা যায়, গাজীপুর-২(সদর-টঙ্গী) আসনে মোট ৯জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে নেমেছেন। তার মধ্যে নৌকা ও দুইজন স্বতন্ত্র প্রার্থী ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের। বাকীরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী। প্রার্থী ৯জন থাকলেও ভোটের মাঠে সরব তিন প্রার্থী। আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর মহানগর যুবলীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহবায়ক ঈগল প্রতীকের সাইফুল ইসলাম ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সাবেক সহসভাপতি ট্রাক প্রতীকের মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন।
এই বিষয়ে স্বাতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, মানুষ পরিবর্তন চায়। যুব সমাজের নেতৃত্ব চায়। একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা নির্বাচনে নেমেছি। আশা করি একটি সুন্দর ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন হবে এবং আমি জয়ী হবো।
সাইফুল ইসলামে স্ত্রী মাহফুজা খানম দিপা বলেন, সাইফুল নির্বাচিত হলে সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত সমাজ গড়বে। নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে আমরা কাজ করতে চাই। বিশেষ করে শ্রমিকদের অধিকারকে প্রাধান্য দিতে একটি আধুনিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করার জন্যই নির্বাচনে নেমেছি আমরা। আমার স্বামী নির্বাচিত হলে গাজীপুর-টঙ্গী হবে একটি নিরাপদ, সুন্দর ও আধ্ুিনক শহর। তিনি গাজীপুর-২ আসনের সকল ভোটারকে নির্ভয়ে ভোট দিতে ও তার স্বামীর ঈগল প্রতীকে ভোট দেয়ার আহবান জানান।