গাজীপুর-২ ( সদর -টঙ্গী) আসনে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন মনোনীত ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ফুলের মালা প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব ডা সৈয়দ : আবু দাউদ মছনবী হায়দার বলেছেন, আমি একজন পীর। এই আসনে আমার এক লাখ ভক্ত আছে। তাই আমার এক লাখ রিজার্ভ ভোট। এই ভোট নিয়ে প্রচারণা শুরু করেছি। সতরাং আমার বিজয় ইনশাআল্লাহ নিশ্চিত।
শুক্রবার( ২২ ডিসেম্বর) রাতে টঙ্গীর পাগার এলাকায় নিজ দরবার শরীফে প্রচার সেলে বসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ইতিহাসে এমএ পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিএইচএমএস পাশ করা ডাঃ সৈয়দ আবু দাউদ মছনবী হায়দার বলেন,গাজীপুর সদর ও টঙ্গী নিয়ে গাজীপুর -২ আসন। এই আসনে আমার এক লাখ দরবারী( ভক্ত) ভোটার আছে। এই ভোটাররা লোভী নয়। তারা আমাকে শ্রদ্ধা করে সম্মান করে ও ভালোবাসে। তাই তারা আমাকেই ভোট দিবে। আল্লাহ চাইলে আমি শতভাগ নিশ্চিত বিজয়ী হবো। এমপি হতে পারলে আমি সন্ত্রাস মাদক ও চাঁদাবাজ মুক্ত একটি সুন্দর সমাজ গড়বো।
টঙ্গী হায়দারী দরবার শরীফের পীর মছনবী হায়দার বলেন, দেশে চলমান দূর্নীতি অনৈতিকতা, অরাজকতা ও সকল অনিয়ম দূর করে একটি ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। যুব সমাজকে বিপথ থেকে ফিরিয়ে এনে ইসলামী আদর্শে গড়ে তুলতে চাই। বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন দেশের সকল ক্রান্তিলগ্নে দেশের জন্য কাজ করেছে। এখনো সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে।
টঙ্গীর পাগার এলাকায় তিন একর জায়গার মধ্যে হায়দারী দরবার শরীফ নামে একটি দরবার শরীফ অবস্থিত। ১৯৫০ সালে হযরত ইমাম হোসেন( র:) এর বংশধর হযরত সৈয়দ আবু সাঈদ হায়দারী টঙ্গীর পাগার এলাকায় ইসলাম প্রচারের জন্য আসেন। উনার মৃত্যুর পর তার ছেলে সৈয়দ আবু রাজ্জাক হায়দারী এই দরবারের পীরের দায়িত্ব লাভ করেন। বর্তমানে তিনি জীবিত এবং ভারপ্রাপ্ত পীরের দায়িত্বে আছেন এমপি প্রার্থী ডাঃ সৈয়দ আবু দাউদ মছনবী হায়দার। এই পীরের মোট ভক্ত সংখ্যা ১০ লাখ। গাজীপুর-২ নির্বাচনী এলাকায় ভক্তের সংখ্যা এক লাখ।
গাজীপুর-২ আসনে মোট ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে টঙ্গীতে ৬ জন ও সদরে ৩ জন প্রার্থী। এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা সাড়ে ৭ লাখ।