ঢাকা: সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি।
সরকারের এমপি, মন্ত্রী ও হুইপরা সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি দখল করে নেওয়ার যে অভিযোগ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ করেছে তা অত্যন্ত মর্মান্তিক বলেও মন্তব্য করেছেন সাবেক এ মন্ত্রী।
শুক্রবার (০৭ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
চলমান রাজনীতি নিয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু একাডেমি।
সুরঞ্জিত বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি মন্ত্রী, এমপি, হুইপরা দখল করে নিয়েছেন। এখন ক্ষমতায় অসাম্প্রদায়িক সরকার। এর চেয়ে দুঃখজনক আর কি হতে পারে। সংখ্যালঘুরা কার আশ্রয়ে যাবে। এখন যদি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এসব খবর আসে, আর এটা যদি সত্য হয় তাহলে এর চেয়ে দুঃখজনক আর কি হতে পারে।
তিনি বলেন, আপনি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলবেন, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে শ্লোগান দেবেন আর নিজে অসাম্প্রদায়িক হতে পারবেন না এটা হয় না। রক্ষক যদি ভক্ষক হয় এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু নেই।
শুক্রবার (০৭ আগস্ট) বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত এ সংক্রান্ত খবরের প্রসঙ্গ টেনে সুরঞ্জিত বলেন, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্যপরিষদ এই অভিযোগ করেছে। তারা খোঁজ-খবর নিয়ে, তথ্য সংগ্রহ করে, জেনেই এই অভিযোগ করেছেন। তাদের এ অভিযোগ এসেছে সরকারের বিরুদ্ধে, সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে ও দলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সংখ্যালঘুরা আরও আতঙ্কিত হবে। সংখ্যালঘুদের শেষ ভরসা এখন প্রধানমন্ত্রী। তাদের রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীকেই দায়িত্ব নিতে হবে। দখলবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আশা করবো প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি দেখবেন। তিনিই শেষ ভরসা।
আলোচনা সভায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আরও বলেন, শিশু হত্যা বিকৃত মানসিকতা থেকে হচ্ছে। তাদের এ মানসিকতা একদিনে হয়নি। সিলেটে শিশু রাজনকে হত্যা করে হত্যাকারী সৌদি আরব পালিয়ে গেলো, এ সময় পুলিশ কি নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছিল, না সহযোগিতা করেছিলো। সহযোগিতাকারী পুলিশ সদস্যদের নামও বের হয়ে এসেছে। ওই পুলিশ সদস্যদের বিচার করতে হবে। দেশ নিম্ন আয় থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে, আর এ দেশের আইন-শৃঙ্খলা মধ্যম হতে হবে না এটা হতে পারে না।
সুরঞ্জিত বলেন, হঠাৎ করে মন্ত্রীরা রাস্তা পরিস্কার করতে নেমে গেছেন। বর্তমানে রাস্তায়, নছিমন, করিমনের অভাব নেই। আমি বলতে চাই এটা কি একদিনে হয়েছে। এতোদিন কি তারা ঘুমিয়ে ছিলেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মুহাম্মদ সেলিম।