নাশতকার অভিযোগে পল্টন মডেল থানায় করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেফতার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক সুমিত কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরআগে গত ১৪ ডিসেম্বর তিনি এ আবেদন করেন। আগামী সোমবার এ বিষয়ে শুনানি হবে।
আবেদনে বলা হয়েছে, এজাহারনামীয় ও তাদের সহযোগী আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বেআইনি জনতাবদ্ধে দাঙ্গা হাঙ্গামা করতে বাঁশের লাঠি নিয়ে সজ্জিত হয়ে পুলিশকে আক্রমণ, বলপ্রয়োগ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গুরুতর জখম করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিসহ ব্যক্তি ও সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করে। আসামিরা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা। তারা ঘটনার দিন নাশকতা ও অরাজকতা পরিবেশ সৃষ্টির জন্য প্রকাশ্যে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে এজাহারনামীয় ও পলাতক আসামিরা পল্টন মডেল থানার সামনে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ এবং ককটেল বিস্ফোরণ করে পুলিশ সদস্যদের গুরুতর আহত করে। মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে উল্লিখিত আসামিদের এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোপূর্বক মামলার রহস্য উদঘাটন, পলাতক আসামিদের গ্রেফতার, ককটেল নিক্ষেপকারীদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ এবং অভিযান পরিচালনার জন্য ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
এদিকে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে জারি করা রুল শুনানির জন্য ১৭ ডিসেম্বর দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট। ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মো: সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ দিন নির্ধারণ করেন।
আরেক মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে ২ নভেম্বর দিনগত রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে পুলিশের সাথে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজ (৩২) নিহতের ঘটনায় করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পল্টন মডেল থানার মামলায় গ্রেফতারের পর গত ৩ নভেম্বর আমীর খসরুর ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ১০ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।