গাজীপুর: জেলার শ্রীপুরে দাদন ব্যাবসায়ীদের সুদের চাপে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে এক গরীব মটর শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর লাশও আটক করেছেন দাদন ব্যবসায়ীরা। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঋনের টাকা পরিশোধের নিশ্চয়তা দেয়ার পর লাশ দাহ করার সিদ্ধান্ত হয়।
বৃহসপতিবার(৬ আগষ্ট) রাত ১০টায় শ্রীপুর থানার সন্নিকটে ওই ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম উজ্জ্বল কুমার দে(৪০)। পিতার নাম স্বর্গীয় উপেন্দ্র কুমার দে। তিনি শ্রীপুর থানার সন্নিকটে জনৈক রুহুল আমিন মাস্টারের বাসায় ভাড়া থেকে মাওনা চৌরাস্তায় মটর গেরেজ কাজ করতেন।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে উজ্জ্বল খেয়ে না খেয়ে জীবন যাপন করতেন। সংসার খরচ চালাতে না পেরে তিনি স্থানীয় জাহাঙ্গীর আলম হনুফা বেগম, রেনু আক্তার, শাহনাজ বেগম, মজনু মিয়া , সুরমা বেগম সহ কয়েক জনের নিকট থেকে মাসিক ১০ টাকা সুদে ঋন নেন। মটর গেরেজে কাজ করে টাকা পেয়ে সুদের টাকা দেয়ার পর হাতে আর টাকা থাকতো না। ফলে সব সময় তার পরিবারে অভাব অনটন লেগেই থাকত।
সূত্র জানায়, ঋনের সুদ ও বাসার খরচ জোগাতে না পেরে উজ্জল প্রায়ই হতাশায় ভূগতেন। বৃহসপতিবার দুপুরে পাওনাদাররা বাসায় সুদের টাকার জন্য গালিগালাজ করেন। রাত ৯টার দিকে উজ্জল কুমার বুকে ব্যাথা অনুব করার সঙ্গে সঙ্গে মারা যান। মৃত্যুর পর পাওনাদাররা উজ্জ্বলের লাশ আটক করেন।
সংবাদ পেয়ে শ্রীপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক(এএসআই) আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থলে এসে দেনদরবার করেন। আসাদুজ্জামান জানান, মোট ৭জনে প্রায় লক্ষাধিক টাকা পায় উজ্জ্বলের নিকট। লাশ আটকের বিষয়ে তিনি বলেন, পাওনাদারদের মধ্যে দুই জন টাকা মাফ করে দিয়েছেন। বাকী ৫জন টাকার নিশ্চয়তা চাচ্ছেন।
রাত সাড়ে ১১টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় পুলিশ লাশ উজ্জ্বলের ঘরে রেখে থানায় চলে যায়। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মধ্যস্থতায় দাহ করার প্রক্রিয়া চলছিল।