টঙ্গী(গাজীপুর) প্রতিনিধি: টঙ্গীতে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন সংক্রান্ত সভায় এক কাউন্সিলর কর্তৃক যুবলীগ নেতাকে চড়থাপ্পড় মারার ঘটনায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এই সময় লাঞ্ছিত হয় একাধিক গণমাধ্যমকর্মীও।
শনিবার(৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় অবস্থিত এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সাথে গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও গাজীপুর-২ আসনের নৌকা প্রতীকের এমপি প্রার্থী যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের চাচা মতিউর রহমান মতির বাসায় এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গাজীপুর সিটিকরপোরেশনের ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন নিয়ে মতিউর রহমান মতির বাসায় একটি সভা হয়। সভায় ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল ইসলাম নুরু ও গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস কাইয়ুম সরকারের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে কাউন্সিল নুরুল ইসলাম নুরু যুবলীগ নেতা কাইযুম সরকারকে চড়থাপ্পড় মারেন। এসময় হাতাহাতি সামলাতে গিয়ে গাজীপুর মহানগর মটর শ্রমিকলীগের সভাপতি মো: আনোয়ার হোসেন (লিটন মহাজন) এগিয়ে আসলে তাকেও অপমান করা হয়। এই ঘটনার ভিডিও ধারণ করায় উপিস্থত ১০/১২ জন সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নেয়া হয়। মোবাইল দিতে না চাওয়ায় দুই জন সাংবাদিককে জামার কালার ধরে টানা হেচড়া করা হয়। এরপর উপস্থিত আওয়ামীলীগ নেতারা সাংবাদিকদের মোবাইল কেড়ে নিয়ে মোবাইল থেকে হাতাহাতির ভিডিও ডিলিট করে মোবাইল ফিরিয়ে দেয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে সাংবাদিকরা মতিউর রহমান মতির বাসার সামনে অবস্থান নেয়।
গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কাইয়ুম সরকার বলেন, ‘কাউন্সিলর নূরুল ইসলামের সঙ্গে আমার পূর্ববিরোধ ছিল। দেরি করে সভায় উপস্থিত হওয়ার অজুহাতে আমাকে চড়থাপ্পড় মারেন। আমার কর্মী-সমর্থকদের মারধর করা হয়েছে। আমি সিনিয়র নেতা-কর্মীদের কাছে বিষয়টি জানিয়েছি।’
অভিযুক্ত গাজীপুর সিটি করপোরেশন ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূরু বলেন, ‘আমি কাউকে মারিনি। আমি কিছুই জানি না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মোটর শ্রমিক লীগের এক নেতা বলেন, ‘সন্ধ্যায় সভা চলাকালে সভায় দেরি করে উপস্থিত হওয়ায় ওয়ার্ড কাউন্সিল নূরুল ইসলাম নূরু যুবলীগ নেতাকে চড়থাপ্পড় মারেন। এ সময় যুবলীগ নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের মারধর করা হয়।’
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতি বলেন, দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিষয়টি সমাধান করা হবে।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার জানা নেই। যুবলীগ নেতা কাইয়ুম সরকার এখনো অভিযোগ জানায়নি।’
গাজীপুর মহানগর মটর শ্রমিকলীগের সভাপতি মো: আনোয়ার হোসেন(লিটন মহাজন) জানান, কাউন্সিলর সাহেব আমাদের উপর উত্তেজিত হয়ে খারাপ ব্যবহার করেছেন। কয়েকজন সাংবাদিকের গায়েও হাত দিয়েছেন।
সভায় উপস্থিত সাংবাদিক আওলাদ হোসেন জানান, আমরা ন্যায় বিচারের আশায় অবস্থান করছি। দেখি কি হয়।
সাংবাদিক হানিফ জানান, আমাদের মোবাইল কেড়ে নিয়ে ভিডিও ডিলিট করা হয়েছে। এটা আমাদেন জন্য অপমানজনক।
এ বিষয়ে জানতে টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মুস্তাফিজুর রহমানকে ফোন করলে একজন ফোন ধরে বলেন, স্যার মাঠে খেলছেন পরে ফোন দিতে হবে।