ঢাকা: আধুনিক, নিরাপদ ও মানসম্পন্ন যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে রেলওয়ের পুরাতন ও মেয়াদোত্তীর্ণ ক্যারেজ প্রতিস্থাপন ও যাত্রীবাহী গাড়ির স্বল্পত দূর করা হবে। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ে যুক্ত হচ্ছে ১০টি ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ ও রিলিফ ক্রেন। একই সঙ্গে ট্রেন পরিচালনার ক্ষেত্রে সময়ানুবর্তিতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, ভ্রমণ সময় কমিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানায়, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে পুরাতন ও আয়ুষ্কাল উত্তীর্ণ মিটারগেজ লোকোমোটিভ প্রতিস্থাপন করা হবে। মিটারগেজ লোকোমোটিভ স্বল্পতা দূরীকরণ ও যাত্রী সাধারণের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন ট্রেন চালুকরণ এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজস্ব বৃদ্ধি করা হবে। ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ১০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ, ২টি মিটারগেজ ও ২টি ব্রডগেজ দুর্ঘটনা রিলিফ ক্রেন এবং একটি লোকোমোটিভ সিমুলেট সংগ্রহ’ প্রকল্পের অাওতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৭৮৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এর বাস্তবায়ন কাল জুলাই ২০১৫ থেকে জুন ২০১৯ সাল নাগাদ। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) খলিলুর রহমান বলেন, সময় মতো রেলওয়েতে যাত্রীসেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ১০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ কেনা হবে। এর মাধ্যমে যাত্রীদের ভ্রমণ সময় কমিয়ে আনা হবে। ডিজেল চালিত ইঞ্জিনের সঙ্গে জেনারেটর থাকবে। এর মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুৎ যাত্রীসেবায় ব্যবহার করা হবে। এছাড়া দুর্ঘটনা মোকাবেলা করার জন্য রিলিফ ক্রেনও কেনা হবে। প্রকল্প প্রসঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের এক প্রতিনিধি বলেন, বাংলাদেশের সব মিটারগেজ লাইন ক্রমান্বয়ে ব্রডগেজ ও ডুয়েলগেজে রূপান্তর করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দুই হাজার ৮৭৭ কিলোমিটার রেললাইনের মধ্যে এক হাজার ৭২২ কিলোমিটার মিটারগেজ লাইন আছে। বিশাল এ মিটারগেজ রেলওয়ে নেটওয়ার্ক ব্রডগেজ ও ডুয়েল গেজে রূপান্তর করা হবে। অর্থাৎ খুব সহসাই মিটারগেজ রোলিং স্টকের চাহিদা হ্রাস পাবে না। বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র আরও জানায়, ১০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমেটিভের নির্মাণে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ লোকোমোটিভের প্লাটফরম থেকে কোচের মেঝের উচ্চতা, কোচের মেঝে থেকে ছাদের অভ্যন্তরীণ উচ্চতা, ভেন্টিলেশন সিস্টেম, জানালাগুলোর মাপ ও আকার ইত্যাদি বাংলাদেশ রেলওয়ের বর্তমান কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কোচ চলাচলের জন্য ব্রিজ, প্লাটফরম, প্লাটফরম শেড, স্টেশনগুলো আলাদা হতে হয়। বিদ্যমান কোচগুলো বাংলাদেশ রেলওয়ের বিদ্যমান অবকাঠামোয় চলাচলে সক্ষম কিনা- এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ের এ প্রতিনিধি বলেন, প্রকল্পের আওতায় কেনা যাত্রীবাহী কোচগুলোর বাংলাদেশ রেলওয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। রেলওয়ের বিদ্যমান অবকাঠামোতে কোচগুলো চলাচলে সমস্যা হবে না।