মাসুদ রানা সরকার, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি ঃ চলতি আমন মৌসুমেও বগুড়া জেলার ধুনটে উপজেলায় খাদ্য বিভাগের কালো তালিকাভুক্ত ১১ চালকল মালিক সরকারি গুদামে চাল সরবরাহ করতে পারছেন না।২০২২ সালে আমন মৌসুমে খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চুক্তি করেও সরকারি গুদামে চাল না দেওয়ায় ১১ চালকল মালিককে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ফলে এক বছর ধরে সরকারি দু’টি গুদামে এসব মিল মালিকদের চাল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।গত মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর/২০২৩,শুধুমাত্র একজন চালকল মালিক চলতি মৌসুমের জন্য খাদ্য বিভাগের সাথে সরকারি গুদামে চাল সরবরাহের চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। তার নাম আব্দুল গুনি মিয়া। তিনি উপজেলা সদরের কলেজ(পাড়া) “জননী ” চালকলের মালিক।চলতি আমন মৌসুমে তিনি সরকারি গুদামে মাত্র ৭৮.৬০ মেট্রিক টন চাল সরবরাহ করতে পারবেন। অথচ এ উপজেলায় বছরে প্রায় আড়াই হাজার মেট্রিকটন চালের চাহিদা রয়েছে।খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে আমন মৌসুমে উপজেলার দু’টি সরকারি খাদ্য গুদামে ৪২৭ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। উপজেলার ১১ জন মিল (চালকল) মালিককে গুদামে চাল সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ হতে চিঠি দেওয়া হয়।নিয়ম অনুযায়ী লাইসেন্সধারী মিল মালিকদের অবশ্যই সরকারি খাদ্য সংগ্রহ অভিযানে অংশ নিতে হবে, যা উল্লেখিত ১১ জন মিল মালিক মানেননি।এ কারণে বিধি মোতাবেক ১১ চালকল মালিককে সরকারি গুদামে চাল সরবরাহে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে খাদ্য বিভাগ। ধুনট উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম বলেন, সরকারি মূল্যের চেয়ে বাজারে ধান-চালের দাম বেশি।এ কারণে গুদামে চাল সরবরাহ করা হলে লোকসান গুণতে হবে, ফলে চাল সরবরাহ করা হয়নি। এ কারণে খাদ্য বিভাগ থেকে ১১ মিলারের নামে আর চাল বরাদ্দ দেওয়া হয় না। তবে খাদ্য বিভাগ কতদিন পর এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিবে তা সঠিক করে বলতে পারছি না।ধুনট উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল মজিদ বলেন, সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ না হওয়ায় বিধি মোতাবেক মিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে খাদ্য বিভাগ। অথচ এ উপজেলায় প্রতি বছর ভিজিএফ, ভিডাব্লিউডি, জিআরসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচির চালের চাহিদা প্রায় আড়াই হাজার মেট্রিকটন।এ উপজেলার মিলারদের চাল সরবরাহ বন্ধ থাকায় অন্য এলাকা থেকে চাল সংগ্রহ করে প্রতি বছর চাহিদা পূরণ করা হয়।#ম.র.সরকার, মোব:-01612725638.)