ইতিহাস গড়ার লক্ষে আজ বুধবার মাঠে নামছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয়ের হাতছানি টাইগারদের। প্রথম ম্যাচে ঐতিহাসিক জয়ের পর বেশ আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে দল, আগে যা হয়নি তা করতে দৃঢ় প্রত্যয়! তাছাড়া বিসিবি’র মোটা অংকের বোনাস পাবারও সুযোগ রয়েছে।
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে অবস্থান করছে কিউইরা। বুধবার মিরপুর শের-ই-বাংলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে জয় নিয়ে বাংলাদেশ সিরিজে এগিয়ে আছে ১-০ ব্যবধানে।
এবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আজ শুরু হওয়া ম্যাচে হার এড়াতে পারলেই সিরিজ জয়ের আনন্দে মাততে পারবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। আর যদি জিততে পারলে, কিউইদের প্রথমবারের মতো টেস্টে হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ দিতে পারবে টাইগাররা। সকাল সাড়ে ৯টায় ম্যাচটি শুরু হবে।
ভেন্যু হয়তো পরিবর্তন হয়েছে, তবে ছন্দ আর লক্ষ্য পরবর্তন করতে চায় না বাংলাদেশ। সিলেট টেস্টের সুখানুভূতি ফিরে পেতে চায় ঢাকাতেও। সিলেটে কিউইদের হারিয়ে যে ইতিহাস গড়েছিল, তা আরো একধাপ এগিয়ে নিতে চায় তারা। হয়ে উঠতে চায় রক্তের স্বাদ পাওয়া বাঘ।
সিলেটে বাংলাদেশের রূপকথার গল্পের মহানায়ক ছিলেন তাইজুল ইসলাম। ঢাকাতেও তার উপর থাকছে বাড়তি দায়িত্ব। আরো একবার ধসিয়ে দিতে হবে কিউইদের। মঞ্চটাও পাচ্ছেন মনের মতো। খেলা হবে যে মিরপুরে, স্পিনারদের স্বর্গরাজ্যে।
বাংলাদেশ দলে স্পিনারদের আধিক্য বেশি থাকায় টিম ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিতভাবেই স্পিন সহায়ক উইকেটই চাইবেন। ঘরের মাঠের সুবিধা কাজে লাগিয়ে যদি সিরিজ জেতাটাই বড় লক্ষ্য টাইগারদের। যেখানে সবাই তাকিয়ে থাকবে তাইজুল, নাইম, মিরাজদের দিকে।
শেষ পাঁচ বছরে মিরপুরে হওয়া সাত টেস্টে বোলাররা পেয়েছেন ২১৫ উইকেট। যেখানে স্পিনাররা নিয়েছেন ১২৬ উইকেট, পেসারদের ঝুলিতে গেছে ৮৯টি। বাংলাদেশের সাফল্য যেখানে ১০৮ উইকেট। তাছাড়া রহস্যময় এই মাঠে স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকে।
নিউজিল্যান্ডের সিরিজে সমতা ফেরাতে হলে এই জয়ের বিকল্প নেই নিউজিল্যান্ডের সামনে৷ যা বেশ কঠিন হবে উইলিয়ামদের কাছে।