রমজান আলী রুবেল, শ্রীপুর, গাজীপুর প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের শ্রীপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী সরকারি কলেজে গত পাঁচ বছর যাঁর নামে প্রতিষ্ঠান তাঁর ছবি-ই ছিল না। কিছুদিন আগে অধ্যাপক রোমানা আলী টুসী আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়ার পর গাজীপুর ৩ এর অপরাজনীতির খেলা কিছুটা হলেও কমেছে। দীর্ঘ ৫ বছর পর সাবেক এমপি ও মন্ত্রী প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলীর ছবি প্রিন্সিপালকে উপহার দেন কয়েকজন সাংবাদিক। প্রিন্সিপালসহ সকল শিক্ষকদের সামনে অনুমতিক্রমে পাঁচ বছর পূর্বের অপসারণ করা ছবির স্থানে অ্যাডভোকেট রহমত আলীর ছবি বসিয়ে দেন সংবাদকর্মী আনোয়ার হোসেন।
এসব বিষয়ে সংবাদকর্মী ও নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহবায়ক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘শ্রীপুরের মানুষের বুকের খুব গভীরে রহমত আলী মহোদয়ের নামটি জায়গা করে নিয়েছে। ওনার ছবিটি যখন রাজনৈতিক নোংরা খেলার অনুষঙ্গ হয়ে ওঠে, এবং তার অংশ হিসাবে ওনার ছবিটিকে ওয়াশরুমের বেসিনের নীচে ফেলে রাখা হয়, তখন শ্রীপুরের মানুষ প্রচন্ড রকম মর্মাহত হন। আমিই প্রথম এ বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ করেছিলাম। তাই ছবিটি যথাস্থানে যথাযথ মর্যাদায় পুনরায় স্থাপিত না হওয়া পর্যন্ত স্বস্তি পাচ্ছিলাম না। সহকর্মীদের সাথে নিয়ে আজ ছবিটি স্থাপন করার মধ্য দিয়ে কিছুটা হালকা বোধ করছি।
ছবি পূর্বের স্থানে প্রতিস্থাপনের পর গাজীপুর জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, প্রয়াত আলহাজ্ব এ্যাডঃ রহমতআলী ছিলেন শ্রীপুরের কিংবদন্তি নেতা যিনি একাধারে ৬ বার জাতীয় সংসদ সদস্য এবং প্রতিমন্ত্রী ছিলেন, তাঁর নামে প্রতিষ্ঠিত শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী সরকারি কলেজ। যাঁর নামে প্রতিষ্ঠান তাঁর ছবি বিগত ৫ বছর কলেজে না থাকাটা ছিলো দুঃখজনক এবং অপরাজনীতির ফসল।
মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) দুপুরে গাজীপুর জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, সংবাদকর্মী আনোয়ার হোসেন ও সংবাদকর্মী মো. মোজাহিদ নিজ উদ্যেগে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে দাপ্তরিক ছবি হিসেবে বাঁধাই করা ছবিটি কলেজের অধ্যেক্ষর হাতে তুলে দেন।