গাজীপুর : পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে খুন করে হাত-পা বেঁধে বাড়ির সামনে সবজি ক্ষেতে পুঁতে দিয়েছে স্বামী। গর্তে পুঁতে রাখা বাড়িতে দশ দিন থাকার পর পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দেয় ঘাতক স্বামী। তারপর পুলিশ স্বামীকে নিয়ে এসে সবজি ক্ষেত থেকে উদ্ধার করে স্ত্রীর লাশ।
নিতহের নাম রেশমা আক্তার রিতু(৩২)। ঘাতক স্বামী বেলায়েত হোসেন(৫০)। তারা গাজীপুর শহরের হাড়িনাল মধ্যপাড়ার বাসিন্দা। এই দম্পত্তির দুই ছেলে ও এক মেয়ে।
সোমবার ( ৪ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে গাজীপুর সদর মেট্রো থানা পুলিশ স্বামী বেলায়েতের স্বীকারোক্তি মূলে তাদের বাড়ির সামনে সবজি ক্ষেত থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, তিন মাস আগে এই দম্পতি ভাড়া আসে। ২৪ নভেম্বর রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর স্বামী বেলায়েত তার স্ত্রী রিতুকে খুন করে হাত-পা বেঁধে বাড়ির সামনে সবজি ক্ষেতে পুঁতে রাখে। এরপর ওই বাসায় দশ দিন নিয়মিত বসবাস করেন বেলায়েত। গতকাল সোমবার বেলায়েত তার মাকে ঘটনার কথা বললে তার মা ছেলেকে নিয়ে থানায় যায়। পুলিশ স্বামী বেলায়েতের স্বীকারোক্তি মূলে গতকাল রাতেই লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যায়।
এবিষয়ে প্রতিবশী ওমর ফারুক জানায়৷ স্বামী তার স্ত্রীকে খুন করে লাশ সবজি ক্ষেতে পুঁতে দেয়। পুলিশ রাতে স্বামীকে সাথে নিয়ে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। আমি তখন এখানে ছিলাম।
এ বিষয়ে গাজীপুর সদর মেট্রো থানার উপপরিদর্শক( এসআই) রুহুল আমিন জানান, বেলায়েতের স্বপ্রণোদিত স্বীকারোক্তি মূলে তার স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বেলায়েত পুলিশি হেফাজতে আছে।