গাজীপুর: শরিফা আক্তার পপি কর্তৃক সাত লাখ টাকা দিয়ে চাকুরী না পাওয়ার অভিযোগ সংক্রান্ত খবর প্রকাশের পর কৃষিমন্ত্রনালয় গঠিত তদন্ত কমিটি বুধবার গাজীপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে তদন্তের প্রথম ধাপ সম্পন্ন করেছেন। বুধবার সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত তদন্ত কমিট অভিযোগকারী ভিকটিম শরিফা আক্তার পপি ও তার ভাই ফারুক সরকারের জবান বন্ধি গ্রহন করেন। তদন্ত শেষে তদন্ত টিমের প্রধান কৃষি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব( গবেষনা) সৈয়দা আফরোজা বেগম উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশে তদন্ত কমিটি হয়েছে। আরো তদন্ত হবে। আবোরো গাজীপুর আসতে হবে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন হবে। তার পর প্রতিবেদন মন্ত্রী মহোদয়ের নিকট দাখিল করা হবে। তারপর মন্ত্রী মহোদয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। তদন্ত শেষে বেরিয়ে ভিকটিম পপি ও তার ভাই ফারুক সরকার জানান, তাদের অভিযোগ তারা প্রমান করতে সক্ষম হয়েছেন। তাদের জবান বন্ধিতে তদন্ত টিম সন্তুুষ্ট বলে তারা দাবি করেন। তবে তদন্তের প্রথম ধাপে অভিযুক্ত ব্রি’র পরিচালক প্রশাসন শাহজাহান কবীর উপস্থিত ছিলেন না। মঙ্গলবার(০৪ আগষ্ট) দুপুরে কৃষি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব( গবেষনা) সৈয়দা আফরোজা বেগম স্বাক্ষরিত ভিকটিমকে পাঠনো এক পত্র থেকে ওই তথ্য জানা যায়। পত্রে বলা হয়, ২৯ জুলাই বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম নামক অনলাইন পত্রিকায় বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউটের(ব্রি) পরিচালক( প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) মোহাম্মদ শাহজাহান কবিরের বিরুদ্ধে চাকুরী দেয়ার নামে “বাঁচা মরা এখন সমান” শিরোানামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি তদন্তের জন্য ৫ আগষ্ট বেলা ১১টায় গাজীপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ভিকটিমকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। পত্রের নীচে কৃষি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব( গবেষনা) ও আহবায়ক তদন্ত কমিটি সৈয়দা আফরোজা বেগমের স্বাক্ষর রয়েছে। ২৯ জুলাই শরিফা আক্তার পপির অভিযোগ ও চাকুরীর বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ কর্তা্ বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউটের(ব্রি) উপ-পরিচালক( প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) এমরান হোসেনের বক্তব্যের ভিত্তিতে “বাঁচা মরা এখন সমান” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদের পর পপিকে তার প্রতিপক্ষ শাহজাহান কবির নিজ মোবাইল নাম্বার থেকে হুমকি দেয় মর্মে পপির ভাইয়ের করা জিডির উপর ভিত্তি করে আরেকটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর ব্রি কর্তৃপক্ষ শাহজাহান কবিরের বিরুদ্ধে করা পপির অভিযোগটির দায় নিজের কাঁধে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদটিকে নিজ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সংবাদ উল্লেখ করে একাধিক দৈনিকে প্রতিষ্ঠানের টাকা খরচ করে বিজ্ঞাপন দেয়। প্রতিবাদ বিজ্ঞাপনে প্রকাশিত সংবাদের শিরোনাম উল্লেখ করে পপির অভিযোগ সম্পর্কে কিছু না বলে অপ্রাসঙ্গিকভাবে ব্রি “র বিরুদ্ধে কৎসা রটনার কথা বলা হয়। সংবাদের শিরোনাম উল্লেখ করলেও ব্রি’ কর্তৃৃপক্ষ পপির অভিযোগ সম্পর্কে কিছুই না বলায় প্রতিবাদ বিজ্ঞাপনে সত্য আড়াল কারার চেষ্টা করা হয়েছে বলে বলাবলি হচ্ছে। এতে পপির অভিযোগ সঠিক বলে মনে করছেন অনেকে। সর্বশেষ বিভিন্ন অনলাইন ও দৈনিকে এ বিষয়ে প্রায় এক ডজনের বেশী সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড়ও উঠে গেছে ইতোমধ্যে।