পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, গণতন্ত্র সমুন্নত করতে প্রয়োজন হলে সরকার সংলাপ করবে। আমাদের সংলাপে আপত্তি নেই।
তবে তিনি বলেন, কার সাথে সংলাপ হবে, তা বিবেচনার বিষয় আছে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার দফতরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মতবিরোধ নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু দেশের প্রধান তিন রাজনৈতিক দলকে শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন।
এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সংলাপে আপত্তি নেই। আমরা গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চাই না। গণতন্ত্র সমুন্নত করতে যা যা করা দরকার, তা-ই আমরা করব। সেখানে যদি সংলাপের প্রয়োজন হয়, আমরা সেটা করব। কিন্তু কার সাথে করব, সেটা বিবেচনার বিষয় আছে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে।’
বন্ধুদেশগুলো কোনো ভালো পরামর্শ দিলে সরকার সেটাকে আমলে নেয় বলে জানান এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘যার যার মতামত তারা দিচ্ছেন। আমরা এতে কিছু মনে করছি না। আমাদের বন্ধুদেশ যদি আমাদের কোনো পরামর্শ দেয়, আমরা ওটাকে খুব ভালোভাবে নিই। আমরা সেটাকে মূল্যায়ন করি। যদি সেটা দেশের জন্য মঙ্গলকর হয়, তাহলে আমরা গ্রহণ করি।’
এ রকম পরামর্শ বহু আসে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পরামর্শ যেগুলো আসে, সেগুলো প্রয়োগ করা যায় কি না, তা দেখতে হয়। বাস্তবতা দেখতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ক্ষেত্রে বিদেশীরা বলেছে, আমরা ওটা গ্রহণ করেছি। আমরা খুব বাস্তবসম্মত দেশ। খুব বাস্তববাদী সরকার। মানুষের কোনো সত্যিকারের অভিযোগ থাকলে, সেটা আমরা গ্রহণ করার চেষ্টা করি।’
অন্যান্য দেশ যদি কোনো পরামর্শ দেয় আর সেগুলো যদি উন্নত মানের হয়, তাহলে সেগুলো গ্রহণ করা হয় জানিয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, এখন কেউ যদি শ্রমিকদের মজুরি ২৫ হাজার করতে বলে। এটা করতে গেলে ওই মালিক কারখানা চালাতে পারবেন কি না বা লাভ করতে পারবেন কি না, সেটাও তো দেখতে হবে।
দেশের তিন রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সমঝোতার উদ্যোগ নিল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ওদের জিজ্ঞাসা করেন। তারা কী কারণে করেছে, তাদের জিজ্ঞাসা করেন। তারা ভালো উত্তর দিতে পারবেন।’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে সম্প্রতি জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক চিঠি দিয়েছেন। সে বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ওনাকে (ফলকার টুর্ক) বলেন ওনার দেশে বন্দীকে, অপরাধীকে, দণ্ডিত অপরাধীকে অন্য দেশে পাঠায় কি না?’