বিএনপির নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে অবস্থান পরিবর্তন করে পাশে সরে গেছে পুলিশ। একইসাথে কার্যালয়ে দুই পাশে রাখা লোহার ব্যারিকেড (রোড ব্লক) সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
তবে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এখনো তালাবদ্ধ। পুলিশের অতিরিক্ত সদস্যও মোতায়েন রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দেখা যায়, পুলিশ সদস্যরা কার্যালয়ের পার্শ্ববর্তী ভিক্টরি হোটেলের গলিতে এবং শ্রিংলা ইন রেস্টুরেন্টের সামনে অবস্থান করছেন।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে পণ্ড করে দেয়ার পরদিন ক্রাইম সিন হিসেবে ‘ডু নট ক্রস’ টেপ দিয়ে কার্যারয়টি অবরুদ্ধ করে রাখে পুলিশ। দুদিন পর আলামত সংগ্রহের পর সেটি সরিয়ে নেয় তারা। তবে পুলিশ সদস্যরা কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করেন।
আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে গতকাল সোমবার আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। এরপরই বিএনপি অফিসের সামনে পুলিশের অবস্থান পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গত ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশকে ঘিরে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এরপর থেকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশের কলাপসিবল গেট বাইরে থেকে তালাবদ্ধ। তখন থেকেই কার্যালয় কার্যত পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। বিএনপি কার্যালয় ও এর আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। পর্যায়ক্রমে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা তারা সেখানে অবস্থান করছেন। এছাড়া গত ৮/১০ দিন আগে কার্যালয়ের সামনে লোহার ব্যারিকেড আনা হয়।
বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ও এর আশপাশের এলাকা থেকে গত কয়েকদিনে দলটির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে, মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ তালা মারেনি, তারা নিজেরাই তালা মেরে রেখেছে এবং তারা এখন সেখানে আসে না। তারা (বিএনপি নেতাকর্মীরা) যদি এখানে আসে, অফিস খুলে কার্যক্রম চালায়, আমাদের কোনো আপত্তি নেই বা কখনোই ছিল না।’